মৌখিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার উপায়

চাকরির খবর ডেস্ক
ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:২৩| আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৫
অ- অ+

কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। চাকরি পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ হলো ভাইভা। অনেকে আছেন লিখিত পরীক্ষা নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন থাকেন তার চেয়ে বেশি চিন্তা করেন মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে। অনেকে তো নাওয়া-খাওয়া ভুলে যান। মৌখিক পরীক্ষা মানেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের দরজায় পৌঁছে যাওয়া। সুতরাং এসময় মোটেই ভুলভাল কিছু করা যাবে না। মাথা ঠান্ডা রেখে সব ঠিকঠাক রেখেই ভাইভা পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। কেননা ভাইভা বোর্ডে খুব ছোট বিষয়ের দিকেও নজর দেওয়া হয়। তাহলে কী করতে হবে?

মৌখিক পরীক্ষার আগের রাতে ভালো ঘুম জরুরি। খাওয়া-দাওয়া করে একটু আগেভাগেই শুয়ে পড়তে হবে। তবে শোয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র একটি ফাইলে রেখে দিন। সকালে যেন খোঁজাখুঁজি করতে না হয়।

সকালে উঠে সব টপিক সংক্ষেপে একবার রিভাইজ দিয়ে নিন। অবশ্যই শেভ এবং গোসল করবেন। টেনশন করলে অনেকের বারবার ওয়াশরুমে যেতে হয়। সুতরাং ওয়াশরুমটা সেরে নিবেন।

সাজগোজের ক্ষেত্রে ছেলেদের জন্য চুল ছোট এবং পরিপাটির বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। অন্যদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মেকআপ না নেওয়াই উত্তম। চাকরির ইন্টারভিউতে যতটা সম্ভব সজীব, পরিচ্ছন্ন ও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন।

চাকরির ইন্টারভিউতে খুব বেশি উজ্জ্বল যেমন- লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা রঙের পোশাক না পরাই উত্তম।

ইন্টারভিউতে ফরমাল এবং মানানসই পোশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট এবং কালো জুতা পছন্দ করতে পারেন। জুতার ক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যাতে এটা বেশি স্টাইলিশ না হয়। মেয়েরা শাড়ি পরতে পারেন। তবে শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে ফুল স্লিভের ব্লাউজ পরা উত্তম।

ভাইভাতে জিন্স, টি-শার্ট, ফতুয়া এবং অতিরিক্ত জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরা যাবে না। সাদা, গাঢ় ধূসর, গাঢ় নীল, কালো বা বাদামি রঙের পোশাক পরে যাওয়া ভালো। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই এমন পোশাক পরাটাই সবচেয়ে ভালো।

ছেলেদের জন্য কালো সুজই ভালো। তবে সুজের ক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যাতে এটা বেশি স্টাইলিশ না হয়। সুজ অবশ্যই রাবার সোল্ড হতে হবে। কারণ রাবার সোল্ডের সুজ হলে হাঁটার সময় শব্দ হয় না। আর অবশ্যই কালো মোজা পছন্দ করবেন। আর মেয়েরা শাড়ির সঙ্গে মানানসই জুতা পছন্দ করবেন। তবে অনেক হাই হিলের জুতা না পরাই ভালো।

সকালের নাস্তা করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আরেকবার চেক করে নিন। ভাইভা পরীক্ষার নির্ধারিত সময় হতে কেন্দ্রে আধা ঘন্টা আগে পৌঁছান। বলাতো যায় না রাস্তাঘাটের অবস্থা কখন কেমন হয়। সুতরাং বাসা থেকে কেন্দ্রে পৌঁছাতে সাধারণত যে সময় লাগে তার থেকে এক ঘন্টা আগে রওনা করুন।

সঙ্গে কলম রাখতে এবং হাতঘড়ি পরতে ভুলবেন না। পথে যেতে যেতে ওইদিন প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকার শিরোনাম দেখে নিন। বাংলা, খ্রিষ্টীয় ও হিজরি তারিখ দেখে নিতে ভুলবেন না।

অনেকেই আছেন ভাইভা কেন্দ্রে গিয়ে অন্যদের সঙ্গে গল্প গুজবে মেতে উঠেন। এতে আপনার মানসিক প্রস্তুতি ও দৃঢ়সংকল্প মনোভাব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে তীরে এসে তরী ডোবার মতো হতে পারে। হাতে পেয়েও ফসকে যেতে পারে আপনার এত দিনের সাধনার ফল। তাই এসব কাজ হতে বিরত থাকুন।

(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/এসএস/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
"হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামে পাঠানো হবে!" — চাঁদাবাজি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি
মিডফোর্ডের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপিকে দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন
মিডফোর্টে পাথর মেরে হত্যা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: জামায়াত
মিটফোর্ড হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বিএনপি মহাসচিবের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা