পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং খোলা রাখার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৫
অ- অ+

পাবলিক পরীক্ষার সময় ফ্রিল্যান্স কোচিংগুলো খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং কোচিং মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (অ্যাসেব)।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেতারা এই দাবি জানান।

সংগঠনটির আহ্বায়ক মো. ইমাদুল হক বলেন, ‘বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় অধিকাংশ স্কুল-কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কোচিংগুলোও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। এতে লেখাপড়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ছাত্রছাত্রীরা। দিশেহারা হয়ে পড়ে অভিভাবক মহল। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সমাধান চায় ফ্রিল্যান্সারদের সংগঠন অ্যাসেব।’

অ্যাসেবের আহ্বায়ক বলেন, ‘বর্তমান সরকারের হাত ধরে শিক্ষা খাতে আমরা বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করতে পারলেও বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সমস্যা আমাদের অনেক ভুগিয়েছে- সেটা হলো প্রশ্নফাঁস। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার মধ্যে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাও একটি। যদিও প্রশ্ন তৈরি, বিতরণ, সরবরাহ কোনো প্রক্রিয়ার সাথেই কোচিং সেন্টার জড়িত না।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ২০১৮ সালে ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষার সময় সরকারের পক্ষ থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সরকারের নির্বাহী আদেশে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখি। কিন্তু দৃশ্যমান ফল হলো সে বছর বিগত সময়ের মতোই প্রশ্নপত্র ফাঁস অব্যাহত থাকে। আবার ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পিইসি পরীক্ষার সময় সরকার কোচিং বন্ধ ঘোষণা করেনি, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা ছিল, কিন্তু কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি। এর থেকে এটা সহজেই অনুমেয়, ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সাথে প্রশ্নফাঁস হওয়া সম্পর্কযুক্ত নয়। ফলে আমরা বলতেই পারি প্রশ্নফাঁসের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা হোক যাতে পাবলিক পরীক্ষার সময়ও বন্ধ রাখতে না হয়। এতে করে বৈষম্য হ্রাস পাবে, শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং মেধাবী তরুণরাও এই সেক্টরে আসতে উৎসাহিত হবে। সেক্ষেত্রে, ছায়াশিক্ষা এন্টারপ্রিনিয়রশিপের অনেক ভালো একটা ক্ষেত্র হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান সোহাগ।

উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক শামসেয়ারা খান ডলি, মাহবুব আরেফিন, আকমল হোসাইন, পলাশ সরকার প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/টিএটি/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০ পৌরসভায় শেষ হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল মারল কে?
কিছু ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ 
সিলেট থেকে ৪১৮ যাত্রী নিয়ে মদিনায় গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা