রোহিঙ্গা গণহত্যায় সমালোচনার মধ্যেই মিয়ানমারে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১০:১৭| আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১১:০৭
অ- অ+

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যেই দেশটিতে দু’দিনের সফরে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

চীনের সংবাদমাধ্যম চাইনা মনিং পোস্ট জানায়, গত ১৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের কোনো প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারে সফরে যাচ্ছেন। তিনি শুক্র ও শনি দুই দিন মিয়ানমারে অবস্থান করবেন। এ সময় দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান, স্টেট কাউন্সিল অং সান সুচিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শি জিনপিং। তবে ২০০৯ সালেও শি জিনপিং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে মিয়ানমারে সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসাবে এই প্রথম তিনি মিয়ানমারে যাচ্ছেন।

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। আদালতে মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করলেও রাখাইনে কোনো গণহত্যা হয়নি বলে শুনানিতে দাবি করেন সুচি।

নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থেই মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন দিয়ে আসছে চীন। সম্প্রতি মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন।

দু’দিনের সফরে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে ১৩০ কোটি ডলারের গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পূর্বদিকে দ্রুতগামী ট্রেন এবং বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র রাজধানী ইয়াঙ্গুনে আরো কিছু শিল্প গড়ে তোলা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

রাখাইনে কিয়াউকফিউ গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে চীন নাগালে পেতে চায় বঙ্গোপসাগর এবং এর মাধ্যমে সরাসরি ভারত মহাসাগরকে। তাছাড়া, দ্রুতগামী ট্রেনের মাধ্যমেও চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ওই বন্দরকে জোড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বেইজিংয়ের।

এ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের পথ সুগম করা এবং মিয়ানমারে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে চীনের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করাই শি-র সফরের লক্ষ্য।

তবে বর্তমানে চীনের ঋণের ফাঁদের বিষয়টি প্রত্যেক দেশের জন্যই আতঙ্কের। প্রাথমিকভাবে মিয়ানমারের কিয়াউকফিউ বন্দর প্রকল্পের জন্য চীন ৭২০ কোটি ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল। কিন্তু চীনা বিনিয়োগে ঋণের ফাঁদে পড়ে দেশ বিকিয়ে যাওয়ার ভয়ে সে বিনিয়োগ ১৩০ কোটি ডলারে নামিয়ে এনেছে মিয়ানমার।

বন্দর নির্মাণ ছাড়াও বিস্তীর্ণ শস্যভূমি ও বন এলাকায় চীনের বিনিয়োগে গার্মেন্টস ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা গড়ে তোলারও পরিকল্পনা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/আরআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিকাশ-এ রেমিটেন্স গ্রহণ করে হাইসেন্স ফ্রিজ-টিভি জিতলেন ২২ জন
টাঙ্গাইলে যুবদলের বিক্ষোভ
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় বাড়ল
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যুবদলের বিক্ষোভ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা