আরাম শেষে অপমান!

আমিনুল ইসলাম মল্লিক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৩০
অ- অ+

ক্লান্ত শ্রান্ত বিষন্ন মন নিয়ে একটু প্রশান্তি খুঁজতে অনেকেই ছূটে আসেন বটগাছের নিচে। অনেক বছরের পুরোনো এ বটগাছটি অবস্থিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে। এই অঙ্গনের বিভিন্ন জায়গায় অনেক বট গাছ আছে। যেগুলোর চতুরদিকে সুন্দর করে ওয়াল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। বার ভবনের সামনেই অবস্থিত বটগাছটির পাশেই রয়েছে প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেল রাখার গ্যারেজ। কয়েক কদম হাটলেই রয়েছে ফাস্টফুট ও চা কফির দোকান। এখানে হরক রকমের ফাস্টফুট আইটেম সাজানো রয়েছে। মামলাসহ অন্যান্য কাজের ফাঁকে নিজেদের ইচ্ছামতো এগুলো কিনে খাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টে আগত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

গত বুধবার দুপুরে এই বটতলায় দেখা যায় অনেক লোকের ভিড়। কেউ বসে গল্প করছেন, কেউ আরাম নিচ্ছেন কেউবা আবার দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। অনেকেই বিভিন্ন মামলার বিষয়ে কথা বলছেন। এদিন দুপুর দুইটার দিকে বটতলায় বসে অনেককেই দুপুরের খাবার খেতে দেখা গেছে। ওয়ান টাইম ইউজ, মাটির প্লেট নিয়ে। খাবার শেষে খাবারের উছিষ্ট, ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলে যাচ্ছেন। বেশির ময়লা দেখা যায় অনটাইম কফির গ্লাস। খাবারের প্লেটসহ নানা কিছু।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এই জায়গাটি সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন। ঝাড়ু দেন নিয়মিত। তাপরেও এতো ময়লা কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন বলেন, আমি মাঝে মাঝে এখানে বসি। আরাম করি। মনে প্রশান্তি আসে। জায়গাটি আমার পছন্দের। কিন্তু দুখের বিষয় হলো এখানে অনেকেই ময়লা করে রাখেন। বসার জায়গাটির সৌন্দষ্য নষ্ট করেন।

খাবার খেতে আসা জুবায়ের হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি এখানে বসে মাঝে মধেই দুপুরের খাবার খাই। চেষ্টা করি জায়গাটি যেন ময়লা না হয়। এজন্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। কে বা কারা ময়লা করে রেখে যায় সেটি বলতে পারিনা।

জানতে চাইলে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশে চেয়ারম্যান মনজিল মোরসেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সুপ্রিম কোর্ট বার এসব গাছগুলো লাগিয়েছে। যাতে করে এ গাছগুলো থেকে মানুষ অক্সিজেন গ্রহন করে। মানুষ গাছগুলোর নিচে বসে আরাম নেয়। কিন্তু এখানে ময়লা করে রাখা মোটেও উচিত নয়। সামনে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন আমার কাছে যেসব প্রার্থীরা ভোট চাইতে আসবেন আমি তাদেরকে এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করব।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, পরিবেশের বিষয়টি আমাদের সব্রাই খেয়াল রাখা উচিত। আইনজীবী বিচারপ্রার্থীসহ সবারই এ বিষয়ে মনোযোগী না হলে দিন সমস্যা বাড়তেই থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, মাজার গেট, মূল গেট, বার কাউন্সিল গেট সড়ক ভবন গেটসহ আদালত অঙ্গনের অনেক জায়গাতেই বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
অলিখিত ফাইনালে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
নগরকান্দায় আগুনে ২ দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি
টানা ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে ফেনী শহর, ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা
চাঁদপুরে বিদেশি মদ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা