দিনাজপুরে যুব মহিলা লীগের তিন নেত্রী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
| আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২০, ১৭:৪৪ | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২০, ১৭:৪৩

সংগঠন পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দিনাজপুরে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের তিনজন নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে দিনাজপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

যুব মহিলা লীগ-দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি ছবি সিনহা ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদা বেগম মুক্তি জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

তবে বহিষ্কৃৃত দিনাজপুর পৌর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবলী আক্তার পিংকি, বিরামপুর উপজেলার পৌর যুব মহিলালীগের সভাপতি শারমিন আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক উন্মে হাবিবা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার এই তিনজন। তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ দিনাজপুর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংগঠনের প্যাডে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের দ্বারা কোনো অপকর্মের ঘটনা ঘটলে জেলা যুব মহিলা লীগ কোনো দায়ভার নেবে না।

দিনাজপুর যুব মহিলালীগের সভাপতি ছবি সিনহা এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যুব মহিলা লীগের এই তিন নেত্রীর বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠাই। কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বললে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক দিনাজপুর পৌর যুব মহিলালীগের যুগ্ম আহবায়ক বাবলী আক্তার পিংকি এবং বিরামপুর উপজেলার পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি শারমিন আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে হাবিবাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদা বেগম মুক্তা জানান, যুব মহিলা লীগের গঠনতন্ত্রের নিয়ম মেনে তিন নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের আদেশ কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে তারা আমাদের দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পৌর যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক বাবলী আক্তার পিংকি বলেন, ‘সংগঠন থেকে বহিষ্কৃারের নোটিশ পেয়েছি। কিন্তু, কী কারণে তা করা হলো আমি বুঝতে পারছি না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এখানে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমি। প্রায় পাঁচ মাস হলো লিখিতভাবে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চেয়ে দলীয় নেত্রীদের কাছে পত্র দিয়েছি। তারা আমার পত্র গ্রহণও করেছেন। তারপরও আমার বিরুদ্ধে সংগঠনের নিয়মভঙ্গের অভিযোগ এনে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইতোপূর্বে আমাকে কোনো নোটিস দেয়া হয়নি।

বাবলী আক্তার বলেন, আমি খেলোয়াড়। খেলাধুলা করি। মাত্র তিন বছর হলো স্থানীয় নেতাকর্মীদের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি। বর্তমানে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে স্বামী সংসার নিয়ে ভালো আছি। কারো মনজয় করতে না পারায় আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে শিকার।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :