সাড়ে সাত মাস পর মুক্তি পেলেন ওমর আবদুল্লা

বাবা মুক্তি পেয়েছিলেন ১০ দিন আগে। এ বার ছেলে ওমর আবদুল্লাকেও মুক্তি দিল ভারত সরকার। মঙ্গলবার শ্রীনগরের জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই গ্রেফতার ছিলেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর। সাড়ে সাত মাসেরও বেশি সময় পরে মুক্তি পেলেন জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা। যদিও করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের অধিকাংশ এলাকায় লকডাউন চলছে। ফলে মুক্তি পেয়েও কার্যত ঘরবন্দিই থাকতে হবে ওমরকে।
ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, উপত্যকায় স্থিতাবস্থা ফিরে আসায় রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ওমরেরর মুক্তির বিষয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে, সম্প্রতি তা জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শীর্ষ আদালতের এই ভূমিকার পরেই তড়িঘড়ি ওমরের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।
গত বছরের ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার দিনই জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বা গৃহবন্দি করা হয়েছিল। জম্মু কাশ্মীর ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছিল ওই সময়েই। তার পর গোটা উপত্যকায় জারি হয়েছিল কড়া নিয়ন্ত্রণ। তখন থেকে বন্দি ছিলেন ওই নেতারা।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ১৩ মার্চ ফারুক আবদুল্লাকে মুক্ত করেছিল কেন্দ্র। এবার ওমর আবদুল্লাকে মুক্ত করা হল। সম্প্রতি দাদার মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওমর আবদুল্লার বোন। সেই মামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা সরকার পক্ষের আইনজীবীকে বলেছিলেন, “তাকে (ওমর আবদুল্লা) যদি মুক্তি দিতে চাইছেন, তা হলে দ্রুত মুক্তি দিন।”
অন্য দিকে এখনও গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের আর এক সাবেক আরেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে। তার বা অন্য নেতাদের মুক্তির বিষয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর পরে মেহবুবা মুফতিসহ অন্য নেতা-নেত্রীদের মুক্তির সম্ভাবনাও জোরদার হল।
ঢাকা টাইমস/২৪মার্চ/একে

মন্তব্য করুন