কেন নিয়মিত আদা খাবেন?

আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এছাড়াও নিয়মিত আদা খাওয়ার অসাধারণ উপকারীতা রয়েছে। তেমনই কয়েকটি দেখে নেয়া যাক-
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়
বিভিন্ন ধরনের খাবার খেলে অনেক সময় অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া অনেকের এটি সাধারণ সমস্যা হয়ে থাকে। অ্যাসিডিটির সমস্যা শরীরের জন্য খুব বেদনাদায়ক ও অস্বস্তিকর। এমন অবস্থায় নিয়মতি আদা খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকা যায়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চা বা খাবারের সঙ্গে বা অন্য কোনোভাবে নিয়মিত আদা খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা নির্মূল হয়।
প্রদাহ দূর করে
আদা মানেই শরীরের সমস্ত প্রদাহ কমে যাওয়া। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় ভোগেন যারা তাদের কাছে আদা মহৌষধ। আদার মধ্যে থাকা প্রদাহ কমানোর উপাদানের জোরেই বাতের ব্যথা ও পেশির ব্যথা থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা উপকারী।
হজম বৃদ্ধি করে
নিয়মিত আদা-পানি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। দ্রুত হজম ছাড়াও গ্যাস-অম্বলে গলা-বুক-পেট জ্বালা করা, বমিভাবসহ এমন সমস্যার সমাধান রয়েছে আদায়। পানীয়টিকে স্বাদ বানাতে মধু, লেবুর রস, পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিতে পারেন।
ওজন কমায়
খিদে নিয়ন্ত্রণে আদার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রোজ সকালে আদা কুচি নুন মাখিয়ে খেলে অকারণ খিদে পাওয়া কমবে। গরম পানিতে আদা কুচি বা থেঁতো করা আদা ফুটিয়ে খেলেও একই উপকার মিলবে। একই সঙ্গে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়বে না।
ত্বক-চুল ঝলমল করে
আদার মধ্যে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন, যা শরীরকে নির্বিষ করে। একই সঙ্গে দেখভাল করে চুল-ত্বকেরও। তাই নিয়মিত আদা ফোটানো পানি গরম বা ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে নিদাগ ত্বক আর কোমর ছাপানো চুল অনায়াসেই মিলবে।
কোলেস্টেরল কমে
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা। এই পাঁচ সমাধান ছাড়া আরও অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করে ঘরের নিত্যপণ্য আদা। সুস্থ থাকতে আদা-পানি ছাড়াও আদা চা, আদার জ্যাম, আদার স্মুদি বা স্যুপও খেতে পারেন।
বয়সের ছাপ দূর করে
কাজের চাপ, চিন্তা, ব্যস্ততা এসবের জন্য অল্পবয়সেই মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে। অনেক কিছু মেখে হয়তো বাইরে থেকে সাময়িক ফল পেতে পারেন, কিন্তু স্থায়ী সমাধান কিছু হবে না। এক্ষেত্রে আপনি কাঁচা আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদান আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান টক্সিন বের করে দেয়। মুখে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ায়। রোজ সকালে খানিক কাঁচা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে নিন। প্রথম দিকে সমস্যা হবে। কিন্তু অভ্যেস করলে উপকার পাবেনই।
শ্বেতি রোগ দূর করে
শ্বেতি রোগ নিয়ে আমাদের অনেক বাছ-বিচার আছে। এই রোগ হলে দেখতে তো খারাপ লাগেই, তা অনেক সময় সামাজিক অসম্মানের কারণও হয়ে থাকে। কিন্তু জানেন কি কাঁচা আদা খুব সুন্দরভাবে এই শ্বেতীকে কমিয়ে আনতে পারে। কাঁচা আদা মুখে বা আক্রান্ত স্থানে লাগান। এছাড়া আদা বাটাও মাখিয়ে রাখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহেই উপকার পাবেন।
পোড়া দাগ দূর করে
আপনার ত্বকে যেকোনো দাগই থাকুক না কেন, তা যদি রোদে পোড়া কালো দাগই হয়ে থাকে, তার থেকেও আদা আপনাকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন সকালে আদার রস খালি পেটে পান করুন। এছাড়া কাঁচা আদাও আপনি পোড়া জায়গায় ঘষতে পারেন। ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ফল পাবেন।
ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/মোআ
সংবাদটি শেয়ার করুন
স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

রমজানে মুখ ও দাঁতের যত্নে করণীয়

বাদাম খেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে ২৫ শতাংশ!

গরমে ডায়াবেটিস রোগীদের বাড়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত থাকার উপায়

আমপাতার ভেষজ গুণ জানলে আম ছেড়ে পাতাই খাবেন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে জানুন এ রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে

চা স্বাস্থ্যকর, তবে বারবার ফুটিয়ে খেলেই মারাত্মক সব বিপদ!

মৃগী রোগ কেন হয়? জানুন এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কেও

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে সহজলভ্য যেসব খাবার
