‘করোনা দুর্যোগে ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক’

নিজস্ব প্রতিবদেক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২০, ২৩:৩৪
অ- অ+

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে গণবিরোধী এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, করোনা দুর্যোগের এই অস্বাভাবিক সময়ে পানির দাম বৃদ্ধির ঘোষণা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন-রোজগারহীন মানুষের উপর নতুন দুর্যোগ নামিয়ে আনবে।

বিৃবতিতে বলা হয়, ওয়াসা সেবার মান না বাড়িয়ে পানির গুনগত মান উন্নয়ন না করে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে চলছে। দাম বৃদ্ধির সময় বিশ্বের উন্নত শহরের পানির দামের সাথে ঢাকা শহরের তুলনা করা হয় কিন্তু ওই সব শহরের সেবার মান ও পানির গুণগত মানের সাথে তুলনা করা হয় না। গত ১২ বছরে ওয়াসা ১৪ বার পানির দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে এবং শতভাগ দাম বৃদ্ধি করেছে। বিভিন্ন এলাকায় গরমকালে পানির সংকট দেখা যায় এবং কোন কোন এলাকায় পানি কালো ময়লা যুক্ত, মবিলের মতো যা ব্যবহারের অযোগ্য। আবার কোন এলাকায় পানির সাথে পোকা-মাকড়, কেঁচো পর্যন্ত যায়। গত বছর ২২ এপ্রিল ময়লাযুক্ত ব্যবহার অনুপযোগি পানি নিয়ে জুরাইনের বাসিন্দা মিজান গিয়েছিলেন ওয়াসা অফিসে চেয়ারম্যানকে ওয়াসার পানি দিয়ে সরবত খাওয়াতে। তার পরও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। এগুলো সমাধানে ওয়াসার কোন উদ্যোগ নাই, অথচ দাম বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে ওয়াসা বলছে উৎপাদন ও পরিচালনা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও দাম বাড়াতে হচ্ছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিদেশি ঋণে বিপুল অর্থ ব্যয়ে পদ্মা ও ভার্কুতা প্রকল্পের ব্যর্থতার দায় ওয়াসা জনগণের কাঁধে চাপাতেই পানির দাম বৃদ্ধির ঘোষণা করছে। প্রকল্প ব্যর্থ হলেও তো ঋণের কিস্তি ও সুদ যথারীতি পরিশোধ করতে হয়, আর এ জন্য অর্থ প্রয়োজন, কিন্তু সরকার প্রশাসন ও প্রকল্প পরিচালকদের ব্যর্থতার দায় কেন জনগণ নেবে?

বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াসার আইনে আছে পানির দাম বাড়াতে হলে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কিন্তু এবারের সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় নেয়া হয়নি বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। ফলে দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ওয়াসা আইন মানেনি তাই পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বেআইনী ও গণবিরোধী। তাছাড়া পানির দামের সাথে সমান হারে সুয়ারেজ বিলও বৃদ্ধি পায়। যা কখনো উল্লেখ করা হয় না। কিন্তু ঢাকা শহরের মাত্র ১৫ শতাংশ এলাকায় সুয়ারেজ লাইন থাকলেও পুরো শহর থেকেই সুয়ারেজ বিল আদায় করা হয় যা অন্যায় ও জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল।

বিবৃতিতে ওয়াসায় বিনিয়োগ কত, উৎপাদন আয় কত তা জনসন্মুখে প্রকাশ এবং পদ্মা (জশলদি) ও ভার্কুতা প্রকল্পের দুর্নীতি অনিয়মের শ্বেতপত্র প্রকাশ করে ব্যর্থতা ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/জেআর/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ: মোটরসাইকেল ও অফিস ভাঙচুর, হাসপাতালে ভর্তি ৫
বিএনপি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়: আমিনুল হক 
অভ্যুত্থানের পর সরকারের কর্তব্য ছিল শিক্ষাখাতের সংস্কারে মনোযোগ দেওয়া: সাকি
৫ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা