কালো কারবারিদের বিরুদ্ধে জনযুদ্ধ সময়ের দাবি: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২০, ১৭:৫৩
অ- অ+

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, যারা মরণঘাতি করোনাকালে প্রতিরোধ যুদ্ধে হারিয়ে গেছেন তারা একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তবে এই দুর্যোগের মাঝেও সমাজ ও সভ্যতাবিরোধী নষ্ট মানুষের কালো কারবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি জনযুদ্ধ শুরু হওয়া সময়ের দাবি। কারণ এরা সমাজ-সভ্যতার অশুভবোধের বিপরীত কলংকের চিহ্ন। এই চিহ্নকে নির্মূল করতেই হবে।

রবিবার বিকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কামান্ডের এক অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও প্রসাশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভার এই আয়োজন করা হয়।

সিটি মেয়র বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে করোনা যুদ্ধে আমরা অভিন্ন যৌথ বাহিনী। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুধু দখলদারিত্বের জন্য হলেও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলো মানব, প্রাণি-প্রকৃতি, জগৎ রক্ষায়। সম্মিলিতভাবে এই যুদ্ধে সব প্রাণি-প্রকৃতি একাকার। এই যুদ্ধ ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির জন্য নয়, প্রাণি-প্রকৃতি জগতে সাম্য প্রতিষ্ঠার। তাই আমরা কেউ-ই নিরাপদ নয় জেনে শুধু প্রাণ রক্ষার জন্য নয়, বিশ্ব সামাজিক সাম্য-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লড়ায়ের মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি করোনা আগ্রাসনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের রুহের শান্তি কামনা করে বলেন, আল্লাহ’র রহমত আছে বলেই যতক্ষণ প্রাণশক্তি আছে জীবন বাঁচিয়ে জীবিকার জন্য লড়াই করবো। ভিক্ষা ও ত্রাণ কখনো জীবনের জন্য অপরিহার্য ও দীর্ঘস্থায়ী নয় এবং তা সাময়িক। এই বোধ আমাদের ভেঙে না পড়ার উজ্জীবন শক্তি।

মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার শহিদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, কোতোয়ালী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সৌরেন্দ নাথ সেন, চান্দগাও থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, বন্দর থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম, আকবরশাহ থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, হালিশহর থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হোসেন, পাহাড়তলী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর আহমদ, খুলশী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ, বাকলিয়া থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী কাজী নুরুল আবছার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক ও শাহেদ মুরাদ সাকু প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা