সাহেদের কঠোর শাস্তি চান সাতক্ষীরাবাসী

এম বেলাল হোসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০২০, ১১:৪৯

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তারে আনন্দিত সাতক্ষীরাবাসী। গ্রেপ্তারের খবর শোনার পরই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং তার শাস্তি দাবি করেন। এলাকাবাসীর মতে এমন প্রতারকের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। সাহেদ সাতক্ষীরার মাটি কলঙ্কিত করেছে।

জেলার বেশিরভাগ মানুষ সাহেদকে না চিনলেও সবাই একবাক্যে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সাতক্ষীরার দলীয় নেতাকর্মীসহ প্রত্যেকেই তার অপকর্মের শাস্তি দাবি করেছেন।

সাহেদ সাতক্ষীরার কামালনগর গ্রামের মৃত. সিরাজুল করিমের ছেলে। মাতা সাফিয়া করিম সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বোরকা পরে পালানোর সময় র‌্যাবের হাতে আটক হন সাড়ে চার ডজনেরও বেশি মামলার এই আসামি। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে নেয়া হয়েছে ঢাকায়। সেখানে র‌্যাবের সদর দপ্তরে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সাহেদকে গ্রেপ্তারের খবর শোনার পরপরই জনপ্রতিনিধিসহ সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি তারা সাহেদের শাস্তি দাবি করেন।

ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। অত বুঝি না। যে মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করে তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই। র‌্যাব ওই প্রতারককে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় সাতক্ষীরাবাসী প্রথম দফায় আনন্দিত। তার কঠোর শাস্তি হলেও সাতক্ষীরার মানুষ আরও খুশি হবে।’

সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন বলেন, তার মতো অপরাধের দায় সাতক্ষীরাবাসী নেবে না। প্রতারক সাহেদের জন্ম সাতক্ষীরায় হলেও সাতক্ষীরায় তার খুব একটা যাতায়াত ছিল না। একদিকে সে সাতক্ষীরায় জন্ম নিয়ে সাতক্ষীরাকে কলঙ্কিত করেছে। অন্যদিকে পালাতে গিয়ে সাতক্ষীরার সীমান্তে এসে আবারও সাতক্ষীরার পবিত্র মাটিকে কলঙ্কিত করল। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ র‌্যাবের সদস্য শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে এতে আমার সাতক্ষীরাবাসী আনন্দিত। তার কঠোর শাস্তির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার মাটি কলঙ্কমুক্ত হবে বলে মনে করি।

সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার মামলায় বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তারে সাতক্ষীরাবাসী আনন্দিত, উচ্ছাসিত। সাহেদের মত একজন প্রতারককে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের এই অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির পরেও সাহেদ কিভাবে সাতক্ষীরা পর্যন্ত পৌঁছলো তা খতিয়ে দেখা দরকার। এছাড়া যারা তাকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত নিয়ে এসে সীমান্ত দিয়ে পার করার অশুভ পাঁয়তারা করেছিল তাদেরকেও চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা দরকার।

গত ৬ ও ৭ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল এবং রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান দপ্তরে র‌্যাবের অভিযানের পর থেকে পলাতক ছিলেন সাহেদ। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরায় গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হয়।

ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

আট দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: শিডিউল বিপর্যয়ে দিনভর যাত্রীদের ভোগান্তি

মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ভাঙ্গা থেকে পায়রা পর্যন্ত এলিভেটেড রেললাইন হবে: রেলমন্ত্রী

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলীর জানাজা বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে

কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ: বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, চলাচলে ভোগান্তি

আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা

আজ থেকে বাড়ছে ট্রেনভাড়া, জানুন কোন রুটে কত

এখনই মিলছে না মুক্তি, আরও ২ দিন দাবদাহের পূর্বাভাস

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :