ভোলায় ব্যবসায়ী প্রবীর হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া এলাকার ব্যবসায়ী প্রবীর মাঝির হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার বেলা ১১টার দিকে ভোলা প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে এলাকার হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে এলাকাবাসী প্রবীর হত্যার বিচারের দাবি জানান।

পরে প্রেস ক্লাব হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রবীর পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত প্রবীর মাঝির ভাই চন্দ্র দীপ মাঝি জানান, গত ২০ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ী প্রবীর মাঝি ও ভাই চন্দ্র দীপসহ মোটরসাইকেলে প্রতিদিনের মতো বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসী সেলিম সিকদার, শাহাবুদ্দিন, বিল্লাল, সাকিল, তানজিল, আরিফ, আনোয়ার, রাসেল, নুরনবীসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র রাস্তায় গাছ ফেলে পথ রোধ করে কুপিয়ে হত্যা করে প্রবীর মাঝিকে। এ সময় চন্দ্রদীপকে কুপিয়ে জখম করলেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। প্রবীরদের সঙ্গে থাকা চার লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় মামলা করলে আসামিদের মধ্যে এলাকা থেকে শাহাবুদ্দিন ও ঢাকায় আত্মগোপানে থাকা হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকি আসামিরা গত প্রায় দুই মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার আসামিরা প্রবীর মাঝির পরিবারকে উল্টো মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন চন্দ্র দীপ।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই এলাকার সেলিম মেম্বার ও তার ছেলে-ভাতিজারা এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কাজে জড়িত ছিল। টাকা ও স্বর্ণালংকারের জন্য এরা এ হত্যার পরিকল্পনা নেয়।

এ সময় সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেন প্রবীর মাঝির ৭৫ বছর বয়সী মা কল্পনা রানী। তিনি বলেন, আর কোনো মায়ের বুক যেনো এভাবে খালি না হয়। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন নিহত প্রবীর মাঝির স্ত্রী মনি রানী, ভাই চন্দ্র দ্বীপ মাঝি, অপর ভাই বিশ্বজিৎ মাঝি, ভাগ্নি দীপা রানী।

(ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/কেএম)