শার্লি এবদোতে হামলায় ১৪ জনের বিচার শুরু

পাঁচ বছর আগে ফরাসি রম্য সাময়িকী শার্লি এবদোর অফিস ও ইহুদিদের একটি সুপারমলে হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে প্যারিসের আদালতে তোলা হয়েছে। ২০১৫ সালের পৃথক এই দুই হামলায় সুপরিচিত কার্টুনিস্টসহ মারা যান ১৭ জন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা বন্দুকধারীদের অস্ত্র এবং অন্যান্য সহযোগিতা করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে এই তিনজন উত্তর সিরিয়া এবং ইরাকে পালিয়ে গেছেন। খবর বিবিসির।
ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া প্রায় ২০০ ব্যক্তি এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন। চলতি বছরের মার্চে এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়।
এই বিচারকে কেন্দ্র করে ম্যাগাজিনটি গতকাল আবারও মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা.-কে নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করেছে।
তাদের দাবি, ‘২০১৫ সালের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নবীর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপানো অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের কাছে প্রায়ই অনুরোধ এসেছে। আমরা সবসময়ই এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছি। আইনত এধরনের কার্টুন প্রকাশে কোনোরকম নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু সেধরনের কার্টুন প্রকাশের জন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে হবে, এমন কোনো কারণ যা বিতর্কের খাতিরে সামনে আনা যুক্তিসঙ্গত হবে। যেহেতু জানুয়ারি ২০১৫ সালের সেই সন্ত্রাসী হামলার বিচার এ সপ্তাহে শুরু হচ্ছে, তাই কার্টুনগুলো পুনঃপ্রকাশ করা আমরা দরকার বলে মনে করেছি।’
শার্লি এবদো সবসময় প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই তারা ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করে বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে। তবে মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের পর সাময়িকীর সম্পাদকমণ্ডলীর বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এর আগে ২০১১ সালে সাময়িকীর বিভিন্ন দপ্তরে একবার পেট্রল বোমা হামলাও চালানো হয়েছিল।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি সাঈদ ও শরীফ নামে দুই সহোদর শার্লি এবদোর দপ্তরে অতর্কিতভাবে ঢুকে পড়ে এবং গুলি চালাতে শুরু করে। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণ যায় সাময়িকীর সম্পাদক স্তেফানি শার্বনিয়ারসহ চারজন কার্টুন শিল্পীর।
বাকি নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুজন কলাম লেখক, একজন কপি এডিটার, একজন অতিথি যিনি একটি বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন এবং অফিসের কেয়ারটেকার। সম্পাদকের দেহরক্ষী এবং একজন পুলিশ অফিসারও ঘটনায় নিহত হন। ওই দুই ভাইকে পরে হত্যা করা হয়।
অন্যদিকে, আমেদি কুলিবালি নামে এক ব্যক্তি ৯ জানুয়ারি চারজন ইহুদি ব্যক্তিসহ একজন পুলিশকে হত্যা করে। এরপর পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তিনিও মারা যান।
(ঢাকাটাইমস/০২সেপ্টেম্বর/এনএইচএস/জেবি)

মন্তব্য করুন