ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। গত বুধবার ওই কিশোরী ভোলা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবার জানায়, গত তিন মাস ধরে মামুনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এরই মধ্যে মামুন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে জোর করে কয়েকবার ধর্ষণও করে। গত দুই-তিন দিন আগে ওই কিশোরী মামুনের এলাকায় তার খালার বাসায় বেড়াতে আসে। এই সুযোগে মামুন মঙ্গলবার রাতে দেখা করার কথা বলে ওই বাসায় এসে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কিশোরীর খালা টের পেলে মামুন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর খালা তাকে মামুনের সঙ্গে দেখতে পেয়ে অনেক বকাঝকা করে তাকে ঘর থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। এ অবস্থায় বুধবার সকালে কিশোরী বিয়ের দাবিতে মামুনের বাসায় গেলে মামুনের বোন তাকে মারধর করে বের করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা মামুনের পক্ষ নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করে।

ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, ‘মামুন আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আমাকে ধর্ষণ করেছে। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব আর এর জন্য দায়ী থাকবে মামুন।’

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মামুন বলেন, ‘আমি ওই মেয়ের খালু আলাউদ্দিনের থেকে হাঁস পালনের জন্য একটি ঘর ভাড়া নিয়েছি। সেই সুবাদে ওই মেয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। এরই মধ্যে মেয়ের খালার মোবাইল দিয়ে কয়েকবার মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। গত রাতেও মোবাইলে কথা হলে ওই মেয়ে আমাকে তার খালার বাসায় যেতে বলে। আমি আমার ঘরে শুয়ে শুয়ে তাকে যাব বলেছি কিন্তু যাইনি। এ কথাগুলো রেকর্ড করে এ মেয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে চাচ্ছে। তার সঙ্গে আমার কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি।’

এ বিষয়ে ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরী আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করলে আমরা মামলার জন্য তাকে সদর থানায় পাঠাই।’

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর করা মামলার আলোকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/পিএল)