নেয়ামত ভূঁইয়া’র কবিতা: ‘অচল হিতোপদেশ’
মাটির শেকড় ছেড়ে হাওয়ায় উড়ো না,
কাঁচের কোঠায় বসে পাথর ছুঁড়ো না।
নিজের কথার প্যাঁচে নিজেই পড়ো না,
সত্য পন্থা থেকে এক পা সরো না।
নিজের গোরের গর্ত নিজেই খুঁড়ো না,
বিপদের শঙ্কায় কান্না জুড়ো না।
নিম্নমানের বই কখনো পড়ো না,
ছায়ার সঙ্গে কভু কুস্তি লড়ো না।
নেশার ছোবল খেয়ে অকালে মরো না,
পরধন কেড়ে নিজ গোলায় ভরো না।
নীতির প্রশ্নে প্রীতির আপোষ করো না,
শূন্যে স্বপ্ন-সৌধ ভুলেও গড়ো না।
কপাল ফেরাতে গিয়ে কপাল পুড়ো না,
রাজপথ ছেড়ে কানা-গলিতে ঘুরো না।
স্বার্থের লোভে পড়ে স্বজন ছেড়ো না,
নিজের পায়েতে নিজে কুড়াল মেরো না।
ঝড়ে পড়ে ভেঙে যাবে; ততোটা বেড়ো না,
পরের দোষের ঘড়া কখনো নেড়ো না।
হীন হয়ে অপরের সোহাগ কেড়ো না,
ক্ষেত খাওয়া বেড়া দিয়ে ক্ষেতকে ঘেরো না।
লিপ্সা রিপুর কাছে কখনো হেরো না,
দায়-সাড়া কাজ করে দায়টা সেড়ো না।
কুজন বাড়ালে হাত সে হাত ধরো না,
মওকা পেলেও বাঘের পিঠেতে চড়ো না।