মেদ কমানোর সহজ উপায়

রুবাইয়া পারভীন রীতি
 | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০২০, ১৫:০৪

পেটে মেদ বা চর্বি হলে চলাফেরায় যেমন কষ্ট হয়, তেমনি নষ্ট হয় সৌন্দর্যও। অনেকে আছেন খুব বেশি মোটা না কিন্তু পেটে অনেক মেদ কিংবা দেহের কিছু কিছু স্থানে মেদ জমায় খুবই অস্বস্তি বোধ করেন। কোনো ভালো পোশাক পরলেও ভালো লাগে না। শরীরের এই বাড়তি মেদ কীভাবে দূর করা যায়? পেটের বাড়তি মেদ কমাতে প্রতিদিন কত কিছুই না করছেন। মানতে হচ্ছে কঠিন নিয়মকানুন। যদি বলি যে বেশি দিন কেন, মাত্র এক সপ্তাহে এই বাড়তি মেদ কমানো সম্ভব তবে কি অবাক হবেন?

সকালে খালিপেটে কমপক্ষে ৪০ মিনিট হাঁটবেন।

ভারী খাবার, ফাস্টফুড, চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত লবণ, ঘন দুধ, লাল মাংস, চর্বি, অতিরিক্ত ঘি, সাদা আটা ও ময়দার খাবার, সোডাজাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া খাবেন না।

দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পানের অন্তত আধা গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন।

শাক-সবজি, সালাদ, টকফল বেশি খাবেন।

প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ, ডিম, ব্রোকলি, ছোলা সিদ্ধ, পাওতলা দুধ, ছানা, টকদই, মটরশুঁটি, মুরগির মাংস ইত্যাদি খাবেন।

এছাড়া মেদ কমানোর আরও কিছু উপায়: প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর শরবত দিয়ে। এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী একটি উপায়। ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে শরবত করে সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকালে পানীয়টি পান করুন। এই পানীয় আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্যযুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্যযুক্ত করে নিতে পারেন।

চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরেই থাকুন অর্থাৎ চিনিকে না বলুন। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, ফিরনি, সেমাই ইত্যাদি থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়ে নিন।

উচ্চ তেলযুক্ত খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমিয়ে রাখে। যেমন আমাদের পেট কিংবা উরু। সুতরাং বুঝেই ফেলেছেন যে এই খাবারগুলো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।

পেটের মেদ কাটিয়ে উঠতে চাইলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে দূর করে দিবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার বলা হয়।

কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকাল বেলা চুষে খান। তারপর লেবুর শরবত পান করুন। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।

যতদিন পেটের মেদ না কমবে ততদিন নন-ভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাংস, মাছ, ডিম, দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতেই পারে।

প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল এই দুই সময়ে ফল ও সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন। এই অভ্যাসটি আপনার দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণ করবে।

ঝাল খাবার খান। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু ঝালগুলো আসবে দারুচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মশলা স্বাস্থ্যকর। এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও ভালো।

লেখক: ক্লিনিক্যাল ডায়টিশিয়ান, ফরাজি হাসপাতাল লি.

ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :