প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তরুণীর আত্মহত্যা

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:২৬ | প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:১৪

টানা ছয় মাস প্রেম করার পর বিয়ের আশ্বাস দিয়েও বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভে তরুণী আত্মহত্যা করেছে বলে তরুণীর রেখে যাওয়া চিরকুট থেকে জানা গেছে। এ ঘটনায় মামলা না করতে প্রেমিকের পরিবার তরুণীর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আত্মহত্যার শিকার ওই তরুণীর পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সোমবার সন্ধ্যায় ভুলতা ইউনিয়নের পাড়াগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

তরুণীর পিতা আবু সাামাদ জানান, তার স্ত্রী আঙ্গুরী বেগম ও তার মেয়ে পাপিয়া বেগম গত ৭ মাস আগে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের পাড়াগাঁও এলাকার শফি মিয়ার বাড়িতে ভাড়া আসেন। আবু সামা স্থানীয় আপন টেক্সটাইলে শ্রমিক। গত ৬ মাস পূর্বে পাশের হারিজ মিয়ার ছেলে মুড়াপাড়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজন মিয়ার সঙ্গে পাপিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক প্রণয়ে পরিণত হয়। এ নিয়ে পাপিয়া চাপাচাপি করলে রাজন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। গত এক সপ্তাহ আগে আবার পাপিয়া রাজনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে রাজন ২০ ডিসেম্বর বিয়ের করার আশ্বাস দেয়। সোমবার দুপুরে বিয়ের ব্যাপারে জানতে রাজনকে ফোন দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে পাপিয়া ক্ষোভে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগে গত ৪ দিন আগে রাজনের পরিবারের লোকজন পাপিয়ার বাসায় এসে তার মা-বাবাকে মেয়েকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য শাসায়। নতুবা জুতার মালা গলায় পরিয়ে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হুমকি দেয়।

পাপিয়ার পিতা আরো জানান, রাজন প্রায় সময়ই তার মেয়েকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে যেত। এসব খরচ বহন করত পাপিয়া। বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় সময়ই পাপিয়ার নিকট থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত। প্রেমিকের মন রক্ষার্থে পাপিয়া তার শেষ অবলম্বন কানের দুল আর শখের পায়ের নূপুরও বিক্রি করে দিয়েছিল। তারপরও মন পায়নি প্রেমিকের।

জানা গেছে, মৃত্যুর আগে পাপিয়া তার ডায়রিতে রাজনের প্রেমের সম্পর্ক ও আত্মহুতির বিষয়ে লিখে গেছে। পাপিয়ার মা আঙ্গুরি বেগম বুকফাঁটা আর্তনাদ করে বলেন, আমার সোনারটুকরা মাইয়াডা ওই রাজন হারমজাদার লেইগ্যা মইরা গেছে। ও কইছে বিয়া করব। বিয়া করার কতা কইয়া আমার মাইয়াডার ইজ্জত নষ্ট করছে। আল্লায় ওগো ইজ্জত শেষ কইরা দিব। আমরা গরিব মানুষ। আমাগো কেউ খবর লয় না।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজনের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস করছে না। বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বরদের জানিয়েও কোন সুফল মেলেনি।

(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :