থানায় নারীদের অভিযোগ নিতে নারী পুলিশ রাখার চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:২৩| আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৪৮
অ- অ+

নির্যাতনের কথা পুরুষ পুলিশকে জানাতে সংকোচ থাকায় দেশের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিতে যান না। এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রত্যেক থানায় একজন করে নারী পুলিশ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এর ফলে নির্যাতনের শিকার কোনো নারী থানায় গিয়ে নিঃসংকোচে তার অভিযোগ তুলে ধরতে পারবেন।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) আয়োজিত অনলাইনে ‘অ্যাডা লাভলেস সেলিব্রেশন’ রাউন্ড টেবিল আলোচনায় বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম ডিভিশনের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার সৈয়দ নাসিরুল্লাহ এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকালে এ ‘রাউন্ড টেবিল’ আলোচনা হয়।

সৈয়দ নাসিরুল্লাহ বলেন, পুলিশ বিভাগ থেকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, কিভাবে নারীদের সমস্যা বা অভিযোগগুলো আরও নির্দিষ্ট করে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়। তবে, এ সংক্রান্ত প্রত্যেক সরকারি সংস্থা বা ডিপার্টমেন্টকে একসঙ্গে বসে কাজ শুরু করতে হবে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে শুধু আলোচনাই হচ্ছে। এবার বাস্তবায়ন শুরু করা উচিত।

দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্রাউজ করে জানিয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন-আইএসপিএবি এর আমিনুল হাকিম বলেন, ২০০৬ সালে আইএসপিএবি থেকে একটি এমার্জেন্সি সাইবার রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। সেক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। তখন সচেতনতা তৈরি করায় আমরা অল্প পরিসরে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে যেমন বুকলেটের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে করণীয় প্রচারণা। এ বছর সেটা বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিসিএসের প্রেসিডেন্ট শাহিদ উল মুনির আমিনুল হাকিম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-১ আইনটি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তবে রাতারাতি কোনো পরিবর্তন হবে না। অনেক সময় সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলেও ভিকটিম তা বুঝতে পারে না। ভিকটিমকে এই আইন সম্পর্কে ভালোভাবে সচেতন করতে হবে যাতে সে নিজেই এই বিষয়ে মোকাবিলা করতে পারে। সবাই মিলে কাজ শুরু করে দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করেন তিনি।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসি বলেন, মেয়েদের সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক সময় পরিস্থিতির শিকার হয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না সাহস এবং সাইবার আইন সম্পর্কে সঠিক তথ্য বা ধারণার অভাবে। এসব এসব বিষয়ে হাইটেক পার্ক অথোরিটিতে আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বছর থেকেই সাইবার আইনটি সম্পর্কে ভিকটিমদের সচেতন করা এবং থানায় অভিযোগ করানোর বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে সবার সমন্বয়ে কাজ শুরু করতে হবে জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। এ সময় নোভা আহমেদ, দেশের নারী ভিকটিমদের সম্পর্কে কোনো রিসার্চ আছে কিনা তা নিয়ে কথা বলেন।

এর আগে সকাল থেকে বিদেশি অতিথিদের কি নোট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শুরু হয় বিডিওএসএন আয়োজিত দুইদিনব্যাপী অ্যাডা লাভলেস সেলিব্রেশন। সেলিব্রেশনে আইটি সেক্টরের উদ্যোক্তা, এক্সপার্ট, নীতিনির্ধারক, চাকরিজীবীরা তাদের জীবনের গল্প বলেন ও নানাদিক নির্দেশনা দেন শিক্ষার্থীদের। অ্যাডা লাভলেস বিশ্বের প্রথম নারী প্রোগ্রামার ও বিখ্যাত ব্রিটিশ কবি লর্ড বায়রনের মেয়ে। তাকে স্মরণ করতে তার নামে এই সেলিব্রেশন করে থাকে বিডিওএসএন।

ঢাকাটিইমস/৩০জানুয়ারি/এসআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ফিরে দেখা ৪ জুলাই: সারাদেশে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক, উত্তাল সব বিশ্ববিদ্যালয়
এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকেও ইভিএম বাদ
আগামী কয়েক দিন ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা, পাউবো কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ
নির্বাচন ভবনে রোপণ করা গাছ থেকে সরানো হলো আউয়াল কমিশনের নামফলক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা