রমজানে ২৫ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানির সিদ্ধান্ত

আসন্ন রমজানে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৫ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এই তেল আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার সচিবালয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সচিব অনুপ ধাওয়ানের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানের সময় আমাদের বাজারে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য প্রস্তুতি রয়েছে। এজন্য আমরা ২৫ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি করতে যাচ্ছি টিসিবির মাধ্যমে। যাতে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো যেতে পারে। সব রকম ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি।‘
তবে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াটাই জরুরি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় না। যেমন- ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ তেল আমদানি করতে হয়। এই বাজারটা আমাদের ওপর না। আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা আমদানির দামের ওপর একটা সার্বজনীন যে দামটা মানবে সে রকম একটা দাম নির্ধারণ করি, সেটা হলো তেলে।’
দেশে বর্তমানে চাহিদার ৭৫ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এটিকে ৯০ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলে পেঁয়াজের বাজারের উর্ধ্বগতি রুখে দেয়া যেত বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিসিবি সাহায্য করবে নিম্নআয়ের মানুষকে। সে জন্য আমাদের সবকিছু রয়েছে। কয়েকটা আইটেম নিয়ে আমাদের সমস্যা। যেমন- তেল, পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমাদের দেশে ৭৫ শতাংশ উৎপাদন হয়। বাকি ২৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এটা যদি কোনো রকমে ৯০ শতাংশে যেতে পারতাম তাহলে কমে যেত।‘
আমদানি করা পেঁয়াজের জন্য পুরোপুরি ভারতের ওপর নির্ভর করা ঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওদের দেশেও পেঁয়াজ নিয়ে মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যার জন্য আমাদের বিকল্প বাজার থেকে ব্যবস্থা করতে হবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে রিজনেবল প্রাইসে আনা যেতে পারে। আরও কিছু জিনিস আমাদের রয়েছে যেগুলো রমজানের পণ্য। যেমন- ছোলা, খেজুর, ডাল এসব জিনিস আমদানি করতে হয়। এগুলো টিসিবির মাধ্যমে অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ আমদানি করা হচ্ছে। সবকিছু বুক করা হয়েছে। আশা করছি সবকিছু এসে যাবে।’
রমজানের আগেই ব্যবসায়ীদের পণ্যের দাম বাড়ানোর কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বাড়ির বউরা রোজা শুরুর আগেই বলে দাম বেড়ে যাবে। তাই রোজার নিত্যপণ্য কিছু কিনে রাখো। এতে করে হয় সবাই রোজা শুরুর আগেই এক সঙ্গে বাজারে ঢুকে পড়ি। তাহলে বিক্রেতারা তো সুযোগ নেবেই। আমরা সে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি।’
মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষের কিছু না কিছু সংযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি ধরেন রোজা শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত আমরা কিছু কিনব না, চুপ করে থাকব। দেখবেন কোনো উপায় থাকবে না বিক্রেতাদের দাম বাড়ানোর। সুতরাং মূল্যবৃদ্ধিতে দুই পক্ষের কিছু না কিছু সংযোগ রয়েছে। সুযোগ তো ব্যবসায়ীরা নেন। সুযোগ পেলে কোনো ব্যবসায়ী আর ছাড়েন না। আমরা চেষ্টা করবো দয়া করে ভীতি হয়ে কেনাকাটা না করি। কেনাটা স্বাভাবিক রাখেন। ক্রেতাদের দায়িত্বও কেনাটা সীমাবদ্ধের মধ্যে রাখা।’
(ঢাকাটাইমস/০৭মার্চ/কারই/জেবি)
সংবাদটি শেয়ার করুন
অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এমডি নিয়োগে জরুরি বোর্ড সভা ডেকেছে ন্যাশনাল ব্যাংক

ডিএসইতে বেড়েছে পিই রেশিও

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে যমুনা ব্যাংক

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে বিমার আধিপত্য

প্রথম প্রান্তিক প্রতিবেদনে আয় বেড়েছে আইপিডিসির

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো

কৃষি ঋণের সুদহার ৮ শতাংশের বেশি নয়

লাফার্জহোলসিমের মুনাফা বেড়েছে ৯৮ শতাংশ
