নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ১০

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০২১, ১৪:৫১

বাগেরহাটে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে শিশুসহ দশজন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ডেমা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে তারা সবাই এখন শঙ্কামুক্ত। এছাড়া এ ঘটনায় একটি মাছের ডিপো ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- রুহুল আমিন গাজী, নওশের শেখ, মাহফুজ শেখ, রবিউল ইসলাম, অনিক শেখ, মিখাইল হোসেন, হেলাল গাজী, মিলন শেখ ও ইমাম গাজী। তারা সবাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ওয়াহেদ মোস্তফা বাপ্পীর সমর্থক। অপর প্রার্থী সজীব তরফদারের পক্ষের কেউ আহত হয়েছেন কিনা তা পুলিশ বলতে পারেনি।

হাসপাতালে ভর্তি রুহুল আমিন গাজী ও নওশের শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘আগামী ১১ এপ্রিল ডেমা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে ওয়াহেদ মোস্তফা বাপ্পী এবং সজীব তরফদার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। রাত দশটার দিকে ইউপি সদস্য প্রার্থী ওয়াহেদ মোস্তফা বাপ্পীর পক্ষে আমরা ২৫-৩০ জন দল বেঁধে ভোটারদের কাছে দোয়া চাইতে যাই। ওইসময় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সজীব তরফদারের সমর্থকরা অতর্কিত আমাদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ও গুলি করে। এতে আমরা বেশ কয়েকজন আহত হই।’

এদিকে, খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মো. সাফিন মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কোন পক্ষের বন্দুক দিয়ে গুলি করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে শিশুসহ দশজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের হাত-পা ফোলা, আঘাতের ক্ষত রয়েছে। বেশ কয়েকজনের পা গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছি। সবাই এখন শঙ্কামুক্ত।’

অন্যদিকে, সংঘর্ষের ঘটনা জানতে ডেমা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে অংশ নেয়া ওয়াহেদ মোস্তফা বাপ্পী এবং সজীব তরফদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :