তাহিরপুরের পাটলাই নদীর ‘অবৈধ দখল’ চলছেই
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের খরস্রোতা পাটলাই নদীরপাড় দখল করে বালি ও মাটি ফেলে নদী ভরাট বাধাহীন চলছে। অভিযোগ রয়েছে, নদী ভরাট করে অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরির মহোৎসবে নেমেছে একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র। এতে নদীটি চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে উপজেলার সচেতনমহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, গত একমাস ধরে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে ওই প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রটি দাপটের সঙ্গে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে সরকারি ভূমি দখল ও নদীর পার ভরাট করে স্থাপনা তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে তাদের ভয়ে কেউ মুখ না খুললেও স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জাানান, নদীটি ভরাট করায় নদী ছোট হয়ে যাবে, নৌযান চলাচলের ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। বর্ষায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীদের পরিবহকারী নৌকা চলাচলে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন মালামাল পরিবহনে বাধাগ্রস্ত হবে। এছাড়াও এই নদী ভরাট হয়ে গেলে নদীটির আশপাশের গ্রামগুলোর হাজার হাজার কৃষকের হাওরে উৎপাদিত বোরো ফসলসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তোলায় বাধাগ্রস্ত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, অবৈধভাবে দখল বাণিজ্য অব্যাহত রাখলে চিরতরে হারিয়ে যাবে খরস্রোতা এ নদী। নদীটি ভূমিদস্যুদের কবল থেকে দখল মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলী হোসেন আখঞ্জী জানান, অবৈধভাবে নদী দখল করে স্থাপণা তৈরির বিষয়টি আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। এভাবে নদী দখল হলে নৌযান চলাচলের ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। আর এ বিষয়ে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অন্যরাও নদী দখল করতে উৎসাহিত হবে।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী খসরুল আলম বলেন, ‘নদী দখলের বিষয়টি আমি এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। এভাবে নদী দখল করে স্থাপণা তৈরি করা বেআইনি।’
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, নদী দখলকারীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/পিএল)