টিকার প্রথম ডোজ নিলেই করোনার ঝুঁকি কমে: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১৯:০০| আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১৯:১১
অ- অ+

যুক্তরাজ্যের গবেষণায় পাওয়া গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা ফাইজারের যেকোনো একটি টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। গবেষণাটি বলছে, অন্য সব বয়সীদের মতো ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও টিকা একইভাবে কাজ করে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জরিপের ভিত্তিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ওএনএস এবং ডিপার্টমেন্ট ফর হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার যৌথভাবে গবেষণা পরিচালনা করেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষার ভিত্তিতে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের টিকা নেয়ার পর সব বয়সী মানুষের শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।

প্রথম গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর মানুষের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি ৬৫ শতাংশ কমে গেছে। টিকা নেয়ার তিন সপ্তাহ পর উপসর্গসহ করোনার সংক্রমণ ৭৪ শতাংশ কমেছে। আর উপসর্গবিহীন করোনার সংক্রমণ কমেছে ৫৭ শতাংশ।

আর যারা ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি ৯০ শতাংশ কমেছে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্ষেত্রে এ তথ্য দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, টিকাদান কর্মসূচি দেরিতে শুরু হওয়ায় খুব অল্পসংখ্যক মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পেরেছেন।

ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের নাফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব পপুলেশন হেলথের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. কোয়েন পোয়েল বলেন, টিকার একটি ডোজ নেয়ার পর করোনার নতুন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার যে তথ্য পাওয়া যায়, তা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। এ ব্যবধান ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে। তবে টিকা নেয়ার পরও মানুষ আবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে জানিয়ে এই গবেষক বলেন, তাদের থেকে অন্যরাও এতে সংক্রমিত হতে পারে। এ কারণে তিনি সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।

দ্বিতীয় গবেষণাটি টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন, এমন প্রায় ৪৬ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর চালানো হয়। এতে টিকা নেয়ার পর সব বয়সী মানুষের শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। টিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে উদ্দীপ্ত করতে পারে, এটি তার প্রমাণ। গবেষকেরা বলছেন, এই অ্যান্টিবডি ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত মানুষের শরীরে কার্যকর থাকতে পারে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের তুলনায় এর কম বয়সীদের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বেশি কার্যকর। ফাইজারের দুটি ডোজ সব বয়সীদের ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। গবেষণায় পাওয়া আরও একটি বিস্ময়কর তথ্য হলো, কম বয়সীদের তুলনায় ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রতিরোধব্যবস্থাকে বেশি কার্যকর করতে পারে।

তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রধান গবেষক সারাহ ওয়াকার বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না, অ্যান্টিবডি কত দিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। তবে ভবিষ্যতে আরও গবেষণার মাধ্যমে তা জানা যাবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/কেআই)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
লেবাননে ১০ কোটি ডলারের বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা: এখনো ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানতে পারেনি র‍্যাব
কুমিল্লায় অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা