কুষ্টিয়ায় জোড়া খুন: আসামিদের জামিন বিবেচনা ২০ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৭ জুন ২০২১, ১৫:০০| আপডেট : ১৭ জুন ২০২১, ১৫:১৪
অ- অ+

কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার স্কুলশিক্ষক মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির জামিন বিষয়ে করা রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২০ জুন (রোববার) এ বিষয়ে আদেশ দেবে আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে চার আসামির পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হেসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

জানতে চাইলে শিশির মনির ঢাকাটাইমসকে বলেন, আসামিদের জামিন স্টে করা হয়েছে। তাদের জামিন যেন বহাল থাকে এজন্য আদালতের কাছে আদেশে পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) এর আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষ করা হয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামিরা হামলা করে ঘটনাস্থলেই স্কুলশিক্ষক মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। পাশাপাশি তার ভাই মিজানুর রহমানকেও জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুরের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় নিহত স্কুলশিক্ষক মুজিবুর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৭ সালের ৯ মে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। রায়ে ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নয়ন শেখ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের মাহফুজুর রহমান, হৃদয় আলী, সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও মামলায় আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

এর মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা আপিলের সঙ্গে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এ চারজনকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার জজ আদালত তাদের জামিন আদেশ স্থগিত করে দেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেন। আপিল বিভাগের এ আদেশ পুর্নবিবেচনা চেয়ে চার আসামি আবেদন করে। সে আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার শেষ হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এআইএম/কেআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভাঙ্গা সার্কেল অফিস ও ভাঙ্গা থানা পরিদর্শন করলেন ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক
বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু 
ক্যানসার আক্রান্ত শহীদ পরিবারের সন্তান ও নির্যাতিত ছাত্রদল নেতার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা