সাত ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম তদন্ত করবে বিএসইসি

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাত ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি)। সোমবার (১২ জুলাই) বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সিকিউরিটিজ হাউজে অর্থ আত্মসাৎ কেলেঙ্কারির কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় সবধরনের বিনিয়োগকারীই বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজে বিনিয়োগকৃত পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আর এ কারণে সংশ্লিষ্ট হাউজে কোনো আইনের ব্যত্যয় হলেই বিএসইসির শরণাপন্ন হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাঁচ সিকিউরিটিজ হাউজ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দুই সিকিউরিটিজ হাউজে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিএসইসি।
যেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদন্ত করা হবে, সেগুলো হলো- ডিএসইর সদস্য ব্রোকারেজ হাউজ মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, সিনহা সিকিউরিটিজ, গ্লোব সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং সিএসইর সদস্য ব্রোকারেজ হাউজ ভ্যানগার্ড শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ এবং কবির সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
ডিএসই, সিএসই এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) যৌথভাবে এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পুঁজিবাজারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্টের (সিসিএ) টাকা নয়-ছয় করেছে। এরমধ্যে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ জুন থেকে ডিএসইতে বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ। একই সঙ্গে ব্রোকার হাউজটির পরিচালক ও পরিবারের সদস্যরা যাতে বিদেশে যেতে না পারেন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরপরেই বেশ কিছু ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আভিযোগ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় তদন্তে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/আরএ/জেবি)

মন্তব্য করুন