আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে সময় বাড়ল
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের সময় আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের জুন মাসের কিস্তির অর্ধেক আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। পাশাপাশি কিস্তির বাকি অর্ধেক পরের কিস্তির সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুন মাসের কিস্তির বাকি অংশ গ্রাহক তার ঋণের সর্বশেষ কিস্তির সঙ্গে পরিশোধ করতে পারবেন। তবে কোনো গ্রাহক চাইলে আগেও পরিশোধ করতে পারবেন।
ধরুন আপনি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছেন। আপনার ঋণ ৬০টি কিস্তিতে পরিশোধের কথা। প্রতিটি কিস্তিতে আপনি ৩০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করে থাকেন। গত জুন মাসে আপনার ১৮তম কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত জুন মাসের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে আপনি আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ১৫ হাজার টাকা দিলেই হবে। আপনাকে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান খেলাপি গ্রাহক হিসেবে উল্লেখ করতে পারবে না। আর বাকি ১৫ হাজার টাকা ৬০তম কিস্তি পরিশোধের সময় দিলে চলবে। আগে জুলাই মাসের কিস্তির সঙ্গে দেওয়ার কথা ছিলো। তবে বকেয়া এই ১৫ হাজার টাকার ওপর কিন্তু সুদ অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ, ব্যাংকের গ্রাহকদেরও একই সুবিধায় ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, করোনার পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী টানা লকডাউনের কারণে ব্যবসাবাণিজ্য মন্দা যাচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের চাপ কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/আরএ/এমআর