সিদ্ধিরগঞ্জে সেনা সদস্য হত্যায় গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সেনা সদস্য শাহিন আলম (২২) নিহতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আলোচিত সেনা সদস্য হত্যাকাণ্ডের পর উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলবার রাতে ওই তিন যুবককে আটক করা হয়।
বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার তিন যুবক।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার কাঠেরপুল এলাকার আলি হোসেনের ছেলে জীবন মিয়া (২৩), মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার শওকত আলী সিরাজের ছেলে সুমন মিয়া (২৫) ও একই এলাকার আসলাম মিয়ার ছেলে জুম্মন মিয়া (২২)। তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা দস্যুতা ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি মশিউর রহমান।
নিহত শাহিন আলম চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মানিকের কান্দি গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পটুয়াখালী জেলার লেবুখালী শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন শাহিন আলম। সাত দিনের ছুটিতে গত শুক্রবার বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। পথে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় তার বন্ধু ফারহাবিবের বাসায় রাতযাপন করার পরিকল্পনা ছিল। মৌচাক বেঙ্গল প্যাসিফিক প্রাইভেট লিমিটেড কারখানার সামনে থেকে মাদানীনগর দশতলা ভবন এলাকায় পৌঁছলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ছিনতাইকারীরা আক্রমণ করে।
ছিনতাইকারীরা তার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে ছিনতাইকারী জীবন ও সুমন তাদের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে সেনা সদস্য শাহিন আলমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টায় মারা যান। এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/কেএম)