দেশের দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত

দেশের দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান। তবে লোকবল সংকটসহ নানা কারণে সরকারি এই হাসপাতালে কিডনি রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই হাসপাতালের পরিচালকের দাবি, যদি সব ধরনের সহযোগিতা করা হয় তাহলে একজন রোগীও এখান থেকে ফেরত যাবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
হাসপাতাল পরিচালক জানান, দেড়শো থেকে পাঁচশো শয্যায় উন্নীত হচ্ছে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এতে দেশে কিডনি রোগীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে।
পরিচালক বলেন, কিনডি রোগীরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও বিশেষায়িত হাসপাতাল মাত্র একটি। রোগীর বাড়তি চাপের কারণে হাসপাতালটি দেড়শো থেকে পাঁচশো বেডে উন্নীত করা হয়েছে। এখন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে লোকবলের সংকট রয়েছে। আমাদেরকে যদি দ্রুত লোকবল দেওয়া যায়, তাহলে আমরা খুব দ্রুতই চালু করে ফেলব। সেটা যদি সময়সাপেক্ষ হয়, তাহলে আউটসোর্সিংয়ে কিছু লোক নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ করছি। আমাদেরকে যদি সহযোগিতা করা হয়, আমাদের হাসপাতাল থেকে কোনো রোগী ফিরে যাবে না।
সরকারি এই বিশেষায়িত হাসপাতালে আবারো কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে তিন জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিবস উপলক্ষে আমরা একজনের কিডনি প্রতিস্থাপন করব। চলতি মাসের মধ্যেই বাকিগুলো করা হবে। আমরা কোভিড রোগীদের জন্যও কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিট দেড়শো থেকে পাঁচশো বেডে উন্নীত করা হয়েছে। এখন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে লোকবলের সংকট রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যবান্ধব এমন দাবি করে পরিচালক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে দুই লাখ টাকায় লেপেরোস্কোপি সার্জারি করা হয়, কিন্তু আমাদের হাসপাতালে মাত্র দশ টাকার একটি টিকিটেই আমরা এটি করতে পারব। আর কোনো টাকা প্রয়োজন হবে না। আমাদের দেশে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। যে কারণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডোনার পাওয়া পাওয়া যায় না। ডোনার পেলে আমাদের কার্যক্রমে আরও গতি আসবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/বিইউ/ইএস

মন্তব্য করুন