নিজেই চাকু কিনে আত্মহত্যা করেন ডিবিসির প্রডিউসার বারী: ডিবি

ডিবিসি (ঢাকা বাংলা চ্যানেল) টেলিভিশনের সিনিয়র নিউজ প্রডিউসার আব্দুল বারীকে কেউ হত্যা করেনি বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। তদন্ত শেষে তারা বলছে, আব্দুল বারীর মৃত্যুর ঘটনায় কেউ জড়িত নন। তিনি (আব্দুল বারী) নিজেই ধারালো ছুরি কিনে তা দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
শনিবার আব্দুল বারী খুনের মামলার তদন্ত শেষে ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য জানান।
লাশ উদ্ধারের এক মাস আট দিনের মাথায় ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মানসিক অবসাদ থেকে নিজের গলা কেটে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন আব্দুল বারী। নিহত আব্দুল বারীর মরদেহ উদ্ধারের সময়ে পাশে থাকা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রাপ্ত বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, একটি দোকান থেকে নিহত বারী নিজেই ছুরি কিনেছেন। তিনি বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেছেন। পরে গুলশানে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
গত ৭ জুন সকালের দিকে হাতিরঝিল পুলিশ প্লাজার পাশে গুলশান লিঙ্ক রোডের পাশ থেকে আব্দুল বারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বুকে ছুরিকাঘাত ও গলায় কাটা দাগ ছিল। তার পরনে শার্ট-প্যান্ট ছিল। তার শরীর ছিল ভেজা।
তখন পুলিশ ধারণা করে, তাকে বুকে ছুরিকাঘাত ও গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর বারীর মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আব্দুল আলীম। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগকে। মহাখালীতে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
ডিসি মশিউর রহমান বলেন, ‘নিহত বারীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও সামাজিক জীবন পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি উনি একজন নির্ভৃতচারী, স্বল্পভাষী ও আইসোলেটেড মানুষ। তার শারীরিক বেশকিছু সমস্যা ছিল, সেজন্য হতাশাগ্রস্ত ও হীনমন্যতায় ভুগতেন। প্রায়ই পরিবারের লোকদের সঙ্গে যোগযোগ রাখতেন না। রাজধানীতে যে মেসে থাকতেন সেখানে থাকতেন, খেতেন কিন্তু সবার সঙ্গে কম মেলামেশা করতেন। অফিসেও কম মনোযোগী ছিলেন। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশও দিয়েছিলেন। জুলাই থেকে বাড়ি ভাড়াও (মেস) ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছিলেন।’
ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার দিনের বিভিন্ন সিসিটিভি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করেছেন। এ দোকান সেই দোকানে হাটাহাটি করেন। যেখানে তিনি জীবনেও যাননি সেখানেও তিনি গিয়েছিলেন। নির্ভৃতে হাটেন, আবার ফেরত আসে। এসব দেখে আমাদের মনে হয়েছে কোনো পূর্বশত্রুতা বা কোনো কারণে কেউ তাকে অনুসরণ করেনি। সেটা ডিজিটাল ভাবেও না ফিজিক্যালিও না।
আব্দুল বারী একাধিক দোকান থেকে ফল কাটার চাকু কিনতে যান জানিয়ে মশিউর রহমান বলেন, সবশেষ একটি দোকান থেকে তিনি চাকু কেনেন। যেটি ঘটনাস্থলে পরে থাকা একই চাকু, একই ব্রান্ড। এসব পর্যালোচনা করে আমাদের মনে হয়েছে মানুষিক অশান্তি, শারীরিক বেশকিছু সমস্যা এবং নিসঙ্গ জীবনের কারণে তিনি নিজেই আত্মহত্যা করতে পারেন, সেই সম্ভবনাই বেশি। আমরা তদন্তে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব মেডিকেল রিপোর্ট, ফরেনসিক রিপোর্ট এবং কেমিকেল রিপোর্টের জন্য।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এসএস/ইএস)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজধানী এর সর্বশেষ

ঢাকার বায়ুর মানে কিছুটা উন্নতি

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির জেরে মিরপুরে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ

তেজগাঁওয়ে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

বগুড়ার হত্যা মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

সড়কে অবস্থান প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজের, পুলিশের বাধা

সাবেক সেনা কর্মকর্তার চুরি হওয়ার পিস্তল চার বছর পর উদ্ধার

পুরান ঢাকাকে নিরাপদ করতে যা দরকার তাই করা হবে: শিল্পমন্ত্রী

ই-বুককে পাঠকের নিকট আকৃষ্ট ও সহজলভ্য করা হবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ে প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজের যাত্রায় পুলিশের বাধা
