জানেন, ডলার নিয়ে কারসাজি করেছে কোন কোন ব্যাংক?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০২২, ১০:২১| আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২২, ১১:৫৫
অ- অ+

সম্প্রতি আলোচিত ইস্যু হয়ে উঠেছে ডলারের দাম। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দর বৃদ্ধির প্রমাণ মিলেছে। ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে উঠেছে এ অভিযোগ। এসব ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে অপসারণের নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ডলারের কারসাজির অভিযোগে যেসব ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক।

সম্প্রতি ডলারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে এবং ডলার কেনাবেচার তথ্য পর্যালোচনা করে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রমাণ পেয়েছে, ছয়টি ব্যাংকের কোনো কোনোটি ডলার কেনাবেচা করে গত মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেছে। এর মাধ্যমে ডলার বাজারকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলা হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সোমবার (৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিকট অতীতে একসঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের ছয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ছয় কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।

এর আগে ২০০২ সালে ওম প্রকাশ আগরওয়াল নামের এক ব্যবসায়ী জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। ওই ঘটনায় একসঙ্গে পাঁচ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) অপসারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে, খোলা বাজারে আজ ১১৫ টাকায় পৌঁছেছে ডলারের দাম, যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত আন্তঃব্যাংক দরের চেয়ে অনেক বেশি। আন্তঃব্যাংক ডলার দর আজ ছিল ৯৫ টাকা।

ডলারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেছেন, ‘যারা খোলাবাজারে ডলারের অবৈধ ব্যবসা করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ পর্যন্ত পাঁচটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপা‌শি ৪২টি‌কে কারণ দর্শাতে বলা হ‌য়ে‌ছে। শোকজের যথাযথ উত্তর দিতে পারলে এসব মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্সের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। অভিযানে আরও নয়টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না নিয়ে এতদিন ব্যবসা করে আসছিল।’

কোভিড-পরবর্তী সময়ে আমদানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে আর্থিক খাত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বেড়েছে খরচ। ফলে তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে ডলারের বাজারে। কমতে শুরু করেছে রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের পরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডলারের বাজার।

(ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/বিএস/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভেষজ বিলাতি গাব খেলে দূর হবে ক্যানসার, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত, জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা