সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ফের সোচ্চার হচ্ছেন সাংবাদিকরা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৫ | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১১:৫৭

১০ বছর আগে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার হচ্ছে না কেন? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের মানুষের মনে। তারা বারবার জানতে চান, বিচারে কোথায় বাধা? কেন তদন্ত শেষ হচ্ছে না?

এসব প্রশ্নের জবাব সাংবাদিক মহল থেকেও দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিক সমাজ শুরুর দিকে সাগর-রুনি হত্যার বিচার চেয়ে সোচ্চার থাকলেও সময় যত গড়ায় তাদের আন্দোলনও স্তিমিত হয়ে যায়। এখন বিষয়টি শুধু আলোচনার মাঝেই সীমাবদ্ধ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত ও বিচর ত্বরান্বিত করতে হলে সাংবাদিক নেতাদের আবার সোচ্চার হতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যার তদন্তের দীর্ঘসূত্রতার দায় আমাদের সবার। যারা তদন্তে আছেন, তারা যদি আমাদের বলতেন আমরা ব্যর্থ- তাহলে আমরা নিজেদের মতো করে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পারতাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন শোকের মাস চলছে। এ মাস শেষ হলেই আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেব। তার একটা কপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও পাঠাব। এছাড়া আমাদের ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটা সমাবেশের ডাক দিয়ে আবার সোচ্চার হবো।’

এরই মধ্যে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯১ বার সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। এ বিষয়টি নিয়ে এখন নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। কেন আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার ব্যর্থতার জন্য প্রশ্ন তুলছেন না যে, আর কত সময় নেবে? সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য তারিখ পেছানো হয়।

সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত এখন র‌্যাবের হাতে রয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আল মইন জানান, ‘তদন্তে নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য আমরা দেখেশুনে তদন্তকাজ শেষ করছি। এ কারণে কিছুটা সময় লাগছে।’

বেসরকারি টেলিভিশন মাছরাঙ্গার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহরুন রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং পরবর্তীতে র‌্যাবের হাতে তদন্তভার ন্যস্ত হয়।

জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা আলামত র‌্যাব ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে পাঠায়। সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে র‌্যাব। এরই মধ্যে তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাহলে তদন্ত শেষ করতে বাধা কোথায়?

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পিপি আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘তদন্ত প্রক্রিয়া জটিল বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা একটু সময় নিচ্ছেন। তবে পরবর্তীতে এভাবে সময় নেওয়ার বিষয়টির ওপর আমরা খেয়াল রাখব।’

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/এমএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :