১০ দিন কারাভোগের পর আইজিপির কাছে ভুক্তভোগীর অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:০১

গাইবান্ধা জেলা শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার একজন ওষুধ ব্যবসায়ী মাহাফুজুর রহমান। সম্প্রতি নন এফেয়ার প্রসিকিউশনে মাদক সেবন করার অপরাধে ১০ দিন জেল খেঁটেছেন তিনি। তার দাবি, তাকে সদর থানার এসআই নয়ন কুমার সাহা অন্যায়ভাবে ফাঁসিয়েছেন।

বুধবার ডাকযোগে আইজিপি বরাবর ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তসহ এসআই নয়ন সাহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন এই ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী মাহাফুজুর রহমানের অভিযোগ, গত ০৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এশার নামাজ আদায় করে প্রতিদিনের ন্যায় দোকানে কুরআন তেলাওয়াত করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ সিভিল ড্রেসে ৬/৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা এসে পবিত্র কুরআন ঝাটকা দিয়ে সরিয়ে দেয়। আমি তাদের সালাম দিতেই সালামের প্রতি উত্তরে খারাপ মন্তব্য করে একজন বলেন আমাদের কাছে খবর আছে তোর দোকানে ইয়াবা আছে। এই বলে আমার দোকান সবাই মিলে তছনছ করে। পরে দোকানে কিছু না পেয়ে তারা ৩ পিস খালি ফেনসিডিলের বোতল, ছোট ছোট ৩ পুরিয়া গাঁজা কোথায় থেকে যেন বের করে আমাকে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে কোন ধরনের পরীক্ষা না করে ডাক্তারকে বলে তিনি গাঁজা খেয়েছে। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সরকারি টিকিটে কি জেনো লিখে দেন, তারপর আমাকে সদর থানায় নিয়ে যায়। থানার হাজতখানায় গভীর রাতে এসআই নয়ন সাহা আমাকে এসে রাগান্বিত ভাষায় বলেন- ‘তুই মদ খেয়েছিস এটা আদালতে স্বীকার করবি তাহলে তোকে ২৫০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিবে। আর এইসব বিষয় নিয়ে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি করবি না।’

ঘটনার পরদিন শনিবার আমাকে একটি নন এফেয়ার (গাঁজা সেবনের মামলা) দিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালতে বিচারকের কাছে গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলে বিচারক আমাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। আমি টানা ১০ দিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি লাভ করি। আমার সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে নিউজ হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর থানার এসআই নয়ন কুমার সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান, মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগলে মানুষ এগুলা করে। আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কথা শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয়বার ফোন করলে নয়ন সাহা বলেন, আমি খেয়ে আপনাকে ফোন দেব। পরে ঘন্টাখানেক পর একাধিকবার কল দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, নয়ন কুমার সাহার বিরুদ্ধে আইজিপি বরাবর অভিযোগ হয়েছে কিনা দাপ্তরিকভাবে আমাদের কাছে কোন চিঠি আসেনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নয়ন সাহার বিরুদ্ধে লেখালেখি হচ্ছে এ বিষয়টাকে কিভাবে দেখবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখব।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :