মাদারীপুরে শীতের সবজির সরবরাহ বেশি, তবু দাম চড়া

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০২২, ১৫:২৭

বাজারে শীতের শাক-সবজির সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়লেও দাম এখনও বেশ চড়া। চালের দাম গত সপ্তাহের মতোই কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি রয়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি মাছের। এ ছাড়াও তেল, আদা-রসুনসহ বেশ কিছু নিত্য পণ্যের দাম নিম্নমুখী হলেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

মাদারীপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায়, অধিকাংশ বাজারগুলোতে এসে গেছে শীতকালীন শাক-সবজি। তবে ফুলকপি, বাধাকপি ও শালগমসহ নানা রকমের শাক-সবজির সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তিতে নেই ভোক্তারা। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, প্রচুর সরবরাহ থাকলেও পাইকারি বাজার থেকেই শাক-সবজি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। তবে দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কিছুটা কমার কথা জানালেন তারা।

মাদারীপুর পৌর শহরের ইটেরপুল বাজারের খুচরা বিক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘গেলো দুই সপ্তাহ ধরে কাঁচা সবজি বেশি পাচ্ছি। তবে পাইকারি বাজারে দাম খুব কমেনি। তুলনামূলক গত বছর যে দামে কিনেছি, তার চেয়ে এবার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের কাছেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যেমন আসে, তেমনই বিক্রি করি। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।’

আরেক দোকনদার আব্দুর রহমান বলেন, ‘এবার দাম একটু বেশির কারণ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এই ঝড়ের কারণে অনেকের সজবির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে গতবারের চেয়ে এবার শীতের কাচা তরকারির দাম বেশি। না হলে এতো দাম হতো না। এখন প্রতি কেজি ফুলকপি ৫০ টাকা, বাধাকপি ৪০ টাকা, সীম ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, নতুন আলু ১০০ টাকা, লাল শাক, শালং শাক প্রতি আটি ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এসএম তানভীর নামে এক ক্রেতা বলেন, কাচা সবজি বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম কমেনি। এখনো প্রতি কেজি সবজি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যে কারণে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত। যাতে ক্রেতা কিনে খেয়ে বাঁচতে পারে।’

এদিকে গত দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম ওঠা নামা করছে। নতুন চাল বাজারে ওঠলেই কেবল এ অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে জানান বিক্রতারা। মাছ-মাংসের ক্ষেত্রেও বাড়তি দাম গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বাজার তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের কৃষি বিপনন কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রির দায়ে জরিমানা করি। তারপরও যদি কোনো ক্রেতা সংক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করেন, তাহলে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদারকি করি। এরপরও আমরা বাজার নজরদারিতে রাখি।’

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :