বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে (৩৫) ফুসলিয়ে নিয়ে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ জামাল ঢাকা টাইমসকে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
শাহ জামাল বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।’
ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারীর বোনের ভাষ্য, কলাতিয়া এলাকার বাড়ির সামনে থেকে সোমবার বিকেলে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি তার বোনকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কদমতলী এলাকায় ধর্ষণের পর হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে গভীর রাতে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
তিনি জানান, তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন ওই নারী। বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ে হয়নি তার।
(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/কেআর/এফএ)