দেশে প্রথমবারের মতো দুই নারীর শরীরে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ তরুণীর কিডনি প্রতিস্থাপন

ক্লিনিক্যালি ডেড ২০ বছর বয়সি রোগীর দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে দুজন কিডনি আক্রান্তের শরীরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সার্জনরা দেশে প্রথমবারের মতো ‘ব্রেন ডেড’ রোগীর কিডনি দুই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করেন।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মায়ের সম্মতিতে সারা ইসলাম নামে ক্লিনিক্যালি ডেড এক রোগীর দুটি কিডনি দুজন রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। কিডনি পাওয়া দুই রোগীই ভালো আছেন।
চার দিন আগে সারা ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বিএসএমএমইউর আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। পরে সারার মায়ের সম্মতিতে দুটি কিডনি অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
সারার দুটি কিডনির একটি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ৩৪ বছর বয়সী এক নারীকে অপর কিডনি জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৯ বছর বয়সী আরেক নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
দেশে প্রথমবারের মতো এমন কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হলো জানিয়ে বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, ‘আমরা এটাকে বলেছি ক্যাডেভারিক অর্গান ডোনার ট্রান্সপ্লান্টেশন।’
‘২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর মারা যাওয়ার পর বুধবার দিবাগত মাঝরাতেই তার কিডনি দুটি অন্য দুজনের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়।’
প্রসঙ্গত, এতদিন দেশে জীবিত দাতার কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হলেও এবারই প্রথম ক্লিনিক্যালি ডেড কোনো রোগীর কিডনি অন্য কারো শরীরে প্রতিস্থাপন করা হলো।
১৯৮২ সালে জীবিত দাতার কাছ থেকে দেশে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়। তবে আইনি সীমাবদ্ধতায় ক্লিনিক্যালি ব্রেন ডেড রোগীর কিডনি নেওয়া যেত না। ২০১৮ সালে পরিবার বা আত্মীয়দের সম্মতিতে ব্রেন ডেড রোগীর অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি দিয়ে অঙ্গ দান আইন সংশোধন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/ডিএম)

মন্তব্য করুন