ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের বাড়ি ফিরতে দুর্ভোগ, বাড়তি ভাড়া আদায়

ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা। কিন্তু ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা পড়েছেন পরিবহন সংকটে। তার উপর পরিবহনগুলোকে সরকারের বেঁধে দেওয়া ভাড়া থেকে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। ফলে মুসল্লিরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
রাজধানী ঢাকার মহাখালী ও টঙ্গী হয়ে কালীগঞ্জ এবং ভৈরব রোড, ময়মনসিংহ রোড, টাঙ্গাইল রোড, শেরপুর রোড, কিশোরগঞ্জ রোড এবং গাজীপুর রোডের যাত্রীবাহী বাসগুলো দ্বিগুণ হারে নিজেদের ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে বলে একাধিক মুসল্লি অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় পর্বের মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করেন। এতে টঙ্গীর আশেপাশের সড়ক-মহাসড়ক গুলোতে সৃষ্টি হয় জনজট ও যানজট। অনেকে আবার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন। আর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা যানবাহনের টিকেট না পেয়ে বাসের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এছাড়া অনেককে বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।
বাস যাত্রী এনামুল ঢাকা টাইমসকে জানান, শনিবার মোনাজাত করার জন্য কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছি। আজ মোনাজাত শেষে বাড়ি যাব কিন্তু বাস ভাড়া দ্বিগুণ।
অটো গাড়ির যাত্রী আনিছ জানান, সকাল থেকে যাওয়ার সময় ভাড়া বেশি দিয়ে যেতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট রোডে বাদশা পরিবহন, চলনবিল, পিপিএল সুপার, উত্তরা পরিবহন, , আরো অনেক যাত্রীবাহী বাসগুলো দ্বিগুণ হারে নিজেদের ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তুরাগ, ভিআইপি সাতাইশ, সু-প্রভাত, প্রভাতি বনশ্রী, অনাবিল, ছালছাবিল, জলসিঁড়ি, অনেক পরিবহনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেক মুসল্লি, সিএনজি, খোলা পিকআপ যোগে নিজেদের গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা যায়।
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন