মোহাম্মদপুরের 'বিডিএসকে’ কিশোর গ্যাং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় 'বিডিএসকে' বা 'ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং’ নামের কিশোর গ্যাংটি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করত। শুধু তাই নয়, এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, যৌন হয়রানিসহ চক্রটি নানা অপরাধে জড়িত। চক্রের বেশির ভাগ সদস্য লেগুনা চালানো ও রাজমিস্ত্রির কাজ করে। পাড়া-মহল্লায় নিজেদের কর্মকাণ্ড জানান দিতে যাকে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী ও বেড়িবাঁধ এলাকা ও ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে বিডিএসকের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব বলছে, তিন কিশোর গ্যাং সদস্যদের নিয়ে দুই বছর আগে বিডিএসকে গড়ে তুলেন শ্রীনাথ মণ্ডল ওরফে হৃদয়। গ্রেপ্তার অন্য সদস্যরা হলেন- রবিন ইসলাম, মোহাম্মদ রাসেল, আলামিন, লোমান, মোহাম্মদ আশিক, জোবায়ের ইসলাম ও মোহাম্মদ সুমন। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি চাপাতি, একটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি চাকু (বড় ও ছোট), দুইটি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়।
রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, এই গ্রুপ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সবুজ বাংলা গ্রুপ, টপ টেন গ্রুট ও ভাই বন্ধু গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তারা বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করতেন তারা। এছাড়া তারা মাদক সেবনসহ বর্ণিত এলাকাসমূহে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল।
র্যাব জানায়, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর আদাবর থানাধীন তিন রাস্তার মোড় এলাকায় এক ব্যক্তিকে জখম করে তার কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় এ গ্যাং সদস্যরা। ওই ঘটনার তদন্ত নেমে এই গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঈন বলেন, বিভিন্ন পেশার আড়ালে তারা এসব অপরাধে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানা একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়েও কারাগারে থেকেছে।
যেভাবে শনাক্ত
রাজধানীর আদাবর তিন রাস্তার মোড় এলাকায় এক ব্যক্তিকে জখম করে তার কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ অর্থ নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরবর্তীতে ওই ভিকটিমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। একইভাবে ওই এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে র্যাব কাজ শুরু করে। পরে এই অপরাধে জড়িত ৮ থেকে ১০ জনকে শনাক্ত করা হয়।
গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য রবিন
এই গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য রবিন ইসলাম রবিন স্থানীয় একটি স্কুল হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর বিডিএসকে গ্যাংয়ের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কার্যক্রমের মাধ্যমে হৃদয়ের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গ্যাং এর সদস্য হিসেবে অপরাধ কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে আদাবর এলাকায় রিকশার গ্যারেজে কাজ করতেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় একাধিকবার কারাভোগ করেছেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এসএস/ইএস)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজধানী এর সর্বশেষ

রাজউক কর্মচারীদের কক্ষে রেকর্ড রুমের ১৫০ ফাইল

বাজার তদারকি করতে কাউন্সিলরদের চিঠি

প্রথম রোজায় নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে ইফতার করলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিক

গেন্ডারিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুল শিক্ষিকার আত্মহত্যা

রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি, কোথাও পড়ল শিল

ভোক্তা অধিকারের বাজার তদারকি: রমজানের প্রথম দিনে চার বিক্রেতাকে জরিমানা

ইফতারের মান নির্ণয়ে রাজধানীতে বসছে মনিটরিং বুথ

কারওয়ানবাজারে অভিযানে ভোক্তা অধিদপ্তর

দূষিত বায়ুর শহর: নবম থেকে আজ ছুটির দিনে পঞ্চমে এল ঢাকা
