গোপালগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আ.লীগ নেতা চৌধুরী এমদাদুলকে শেষ শ্রদ্ধা

গোপালগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হকের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মরহুম চৌধুরীর এমদাদুল হক এর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকু।

এসময় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মুন্সী মো: আতিয়ার রহমান, পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহসিন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাইমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খাইরুল আলম সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক, সাংস্কৃতিক, শ্রমজিবি ও পেশাজীবী সংগঠন সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ মরহুমের জানাজায় অংশ নেন।

এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার বাদ জুহর তার নিজ বাড়ি সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামে তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হক। এর আগে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ঢাকার কলাবাগানে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ধক্য জনিত কারনে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর। তার মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন।

ছাত্রলীগ দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সৎ, নির্লোভ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতির বাতিঘর এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণ আন্দোলনসহ বিভিন্ন লড়াই সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন।

তার মৃত্যুর খবরে গোপালগঞ্জ জেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/এআর)