ঈশ্বরদী-রূপপুর রেললাইন উদ্বোধন আজ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫৫

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল পরিবহনের জন্য পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর রেল স্টেশন ও নবনির্মিত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন হবে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনটির নামকরণ করা হয়েছে ‘রূপপুর’ স্টেশন। এই স্টেশন হয়ে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। শুধুমাত্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য স্টেশনটি ব্যবহৃত হবে।

দেশের সর্বোচ্চ ব্যয়ের প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। আজ থেকে এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রেলপথ। ২০২১ সালে ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটারের মধ্যে ৯ কিলোমিটার একেবারেই নতুনভাবে নির্মিত ও বাকি ১৭ দশমিক ৫২ কিলোমিটার রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হয়েছে।

এর আগে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নে ৩৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরে এটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নিরাপদ, দ্রুত ও মালবাহী ট্রেন সেবা চালু করা সম্ভব হবে।

রেল সূত্রে জানা যায়, ৭ কিলোমিটার দূরত্বে ঈশ্বরদী থেকে পাকশী পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত রেললাইনে বিনা পয়সার ‘পাইলট’ ট্রেন চলাচল করত। ওই ট্রেনে পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতায়াত করতেন। সড়ক পথের উন্নয়ন হলে ১৯৮০ সালের দিকে পাইলট ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর পরিত্যক্ত রেললাইন সরিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন নতুন রেলপথ ও স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এই নির্মাণকাজের সঙ্গে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন সংস্কার ও লুপ লাইন নির্মাণকাজও করা হয়।

রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল বলেন, প্রকল্পের আওতায় ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া একটা ‘বি’ শ্রেণির রেলওয়ে স্টেশন, ১৩টি লেভেলক্রসিং, ৭টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য কম্পিউটার বেইজড কালার লাইট সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে করা হয়েছে। তিনি জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকা।

পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, এই স্টেশন হয়ে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। শুধুমাত্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য স্টেশনটি ব্যবহৃত হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/আরকেএইচ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :