আমদানি ব্যয়, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
আমদানি ব্যয়, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। দেশের এ অগ্রযাত্রা সামনে এগিয়ে নিতে হবে। যা নিয়ে যাবে আমাদের নতুন প্রজন্ম।’
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ২১ জনকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং ১৬ জনকে বিশেষ গবেষণা অনুষদের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘গবেষণার কারনেই আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আরও দক্ষ বিজ্ঞানী তৈরিতে জোর দেয়া হয়েছে গবেষণায়। বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্য বিশেষ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত ৫ হাজার ১২৫টি প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা গবেষণায় অনুদান দেয়া হয়েছে।
যারা অনুদান পেয়েছেন তারা আন্তরিকতার সঙ্গে গবেষণা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে জানতেও চাই কি কি উদ্ঘটন আপনারা করলেন, আর তা আমাদের কতটুকু কাজে লাগবে। গবেষণার কোনও শেষ নেই। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি পরিবর্তন হচ্ছে।’
ডাক্তার হয়ে চলে যান পুলিশের চাকরিতে:
দেশে কৃষি ও বিজ্ঞানে গবেষণা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা খুবই সীমিত বলে দুঃখপ্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আপনারা ডাক্তার হন, ডাক্তার হয়ে পুলিশের চাকরিতে চলে যান না হয় রাজনীতিতে চলে যান। ডাক্তারিও করেন না গবেষণাও করেন না।’
‘আবার একশ্রেণি আছে, তারা শুধু টাকায় কামাই করেই যাচ্ছে। সরকারি চাকরিও করবে আবার প্রাইভেট চাকরিও করবে। এজন্য গবেষণা হয় না। স্বস্থ্য নিয়ে গবেষণা সীমিত কয়েকজন করেন। কাজেই আমি চাইবো স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা বাড়ানো দরকার।’
কোনও অংশেই আমরা পিছিয়ে থাকব না:
বাংলাদেশ কোনও অংশেই পিছিয়ে থাকবে না প্রত্যয় রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারও কাছে হাত পেতে চলব না। আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার প্রদক্ষেপ নিয়েছি।’
‘আমাদের স্মার্ট জনগোষ্ঠী, আমাদের স্মার্ট অর্থনীতি, আমাদের আর্থসামাজিক উন্নতি স্মার্ট উন্নতি আমরা করব। সবক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা একটা স্মার্ট দেশ গড়ে তুলব। ২০৪১ এর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। জাতীর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।’
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য কাজ করবে আমাদের নতুন প্রজন্ম। এজন্য সবার আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। কারণ আত্মবিশ্বাসই প্রেরণা ও শক্তি যোগায়।’
(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/এলএম/ডিএম)