দিনাজপুরে ত্রিভুজ প্রেমের বলি কলেজছাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৯:৪২

দিনাজপুরে ত্রিভুজ প্রেমের বলি কলেজছাত্র বিপুল। ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে পরিকল্পিতভাবে খুন হয়েছেন কলেজছাত্র শাহারিন আলম বিপুলকে। এই হত্যার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্যে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ অফিসের কনফারেন্স রুমে এক প্রেসব্রিফিং এ এসব তথ্য দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ।

পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার রাতে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশের বিশেষ টিম।

বিপুল হত্যার আসামিরা হলেন- দিনাজপুর সদর উপজেলার শালকী বোয়ালমারী গ্রামের মো. রশিদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫), উপশহরের ৬ নং ব্লকের পুরাতন পাওয়ার হাউজ এলাকার উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে শাকিব শাহরিয়ের (২০), সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে

আশরাফুল হোসেন মিলন (১৯) ও উপশহরের হাউজিং মোড় ৭ নং ব্লকের হামিদুর রহমানের ছেলে

আসিফ মাহমুদ হৃদয় (২০)।

দিনাজপুর পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, দিনাজপুর দক্ষিণ কোতয়ালির আস্করপুর ইউপির দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ও দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজ প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র শাহারিন আলম বিপুল (১৮)কে ফেসবুকে SAKIB AHMED SUVO নামে ফেক আইডির মাধ্যমে গত ৪ মার্চ বাড়ি থেকে ডেকে নেয় আনে আসামিরা। সেইদিন থেকে নিখোঁজ ছিল বিপুল।

বিপুলের নিখোঁজের বিষয়ে তার ভাই শাহরিয়ার আলম ৫ মার্চ কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি ( জিডি) নথিভুক্ত করেন।

সোমবার দুপুর ২ টা ১০ মিনিটের দিকে দিনাজপুর স্টেডিয়ামের প্রথম গেটের গ্যালারির ডানদিকে গ্যালারির নিচে ময়লার স্তূপ থেকে অর্ধগলিত দুর্গন্ধযুক্ত একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি বিপুলের বলে তা শনাক্ত নিহত বিপুলের পরিবার।

সুরতহাল প্রস্তুতকালে এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ধরে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়। একই দিন ভিকটিমের বড় ভাই শাহারিয়ার আলম বাদী হয়ে ১ জনকে এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে করেন।

হত্যার পর থেকেই এজাহার নামীয়সহ অপরাপর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। অভিযান টিমের ধারাবাহিক কার্যক্রম এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি দেলোয়ার গ্রেপ্তারের পর কলেজছাত্র বিপুল হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ সাংবাদিকদের লিখিতভাবে জানান, আসামি দেলোয়ার হোসেন, পুরভী (ছদ্ম নাম) নামে এক মেয়েকে পছন্দ করে। কিছুদিন সম্পর্ক করার পর পুরভীর ভিকটিম বিপুলের সাথে সখ্য হয়। দেলোয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছিল না। সে বিপুলকে সরাসরি টার্গেট করে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :