ক্যাম্প কমান্ডারদের প্রতি র‍্যাব ডিজির কড়া বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ মার্চ ২০২৩, ১৫:২২

র‍্যাবে কর্মরত অবস্থায় যারা শহীদ হয়েছেন বা সাধারণ মানুষ র‍্যাবের সহায়তা চাইতে গেলে আন্তরিকতার যেন কমতি না থাকে, এমন নির্দেশনা দিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। বলেন, ‘যারা সহায়তা চাইবেন তাদের সঙ্গে অবশ্যই ক্যাম্প কমান্ডার কথা বলবেন। আমি অভিযোগ পাচ্ছি; অনেক ক্যাম্প কমান্ডার অসহায় সাধারণ মানুষের কথা শোনেন না। আমি পুনরায় এমন অভিযোগ শুনতে চাই না।’

সোমবার সকালে র‍্যাব সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সন্তান বা স্বামী হারানোর যে শূন্যতা তা কোনো কিছুতেই পূরণ হবার নয় জানিয়ে র‍্যাব ডিজি বলেন, ‘র‍্যাবে কর্মরত অবস্থায় যারা শহীদ হয়েছেন, সেসব পরিবারকে আমরা প্রতিবছর আমন্ত্রণ জানাই। আমরা তাদেরকে আর্থিক সহায়তা, উপহার সামগ্রী প্রদান করি। তবে আজ যে সন্তান পিতা হারা হয়েছেন, যে স্ত্রী স্বামী হারা হয়েছেন আমরা সেই শুন্যতা কোনো অবস্থাতে অর্থদিয়ে বা পুরস্কার দিয়ে পূরণ করতে পারবো না। যেসব সদস্য দেশের জন্য শাহাদাত বরণ করেছেন তারা আমাদের গর্ব। আমরা জানি আল্লাহর কাছে শহীদের মর্যাদা অনেক বেশি। আমার পক্ষ থেকে ডিরেক্টর বা সিওদের অনুরোধ থাকবে কোনো শহীদ পরিবার আপনাদের কাছে উপকার না পেলেও অন্তত আন্তরিকতার কমতি যেন না থাকে; এটা নিশ্চিত করতে হবে।’

মহাপরিচালক এম খুরশীদ বলেন, ‘আজকে আমরা যারা জীবিত রয়েছি, তারা কে কোন অবস্থায় মারা যাবো কেউ জানি না। কিন্তু শহীদ পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের অনুভূতি যেন বুঝতে পারি। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।’

র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, ‘শহীদ পরিবারের সন্তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব থাকবে, আমাদের মাধ্যমে যদি কর্মসংস্থান হয় সেটা অবশ্যই করব। শহীদদের অনেকের সহধর্মিণী রয়েছে, তাদেরও যদি কর্মের ব্যবস্থা করা যায় সেটাও আমরা সবাই চেষ্টা করব। চাকরি জীবনে আমরা যতটুকু মানুষের জন্য উপকার করে যেতে পারি সেটাই কিন্তু আত্মতৃপ্তি। যখন অবসরে চলে যাবো তখন এ সুযোগ থাকবে না।’

র‍্যাবের কর্মকর্তাদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে এলিট ফোর্স প্রধান বলেন, ‘র‍্যাবের এডিজি, অধিনায়ক বা কোনো ক্যাম্পে গিয়ে আমাদের শহীদ পরিবারের সদস্যদের এমন অনুভূতি না জাগে যে; আজ আমার বাবা বা স্বামী বেঁচে নেই কিন্তু র‍্যাবের কাছে এসে সহায়তা পেলাম না। সবাইকে বলব শহীদ পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিকতার কমতি থাকবে না। তারা যেন মনে কষ্ট না পায়। কোনো ব্যাটালিয়নে গিয়ে যদি কেউ উপকার না পান কষ্ট করে ঢাকায় চলে আসবেন, আমরা তাদের সহায়তার চেষ্টা করব। আর শহীদ পরিবারের সদস্য যারা আমাদের কাছে দাবি-দাওয়া রেখেছেন তাদের বিষয়ে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

তিনি বলেন, দরবারের প্রথমদিনে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করি। আমাদের অন্য কোনো কিছু চিন্তা করলে চলবে না। ভয়ের কোনো কাজ নেই। আমাদের একটাই আস্থা আমরা এদেশের সন্তান, এদেশের জন্য কাজ করি। সবার মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে র‍্যাব মানুষের ভরসা, নিরাপত্তা ও ভরসার প্রতীক। আমি চাই, আমাদের সকল সদস্য মানুষের মধ্যে ভরসা-আস্থা আরও বাড়াতে কাজ করবে।’

বাহিনীর সকল সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শাসক না, সেবক হতে চাই। আমি চাই যারা অসহায় মানুষ, বিপদগ্রস্ত মানুষ আমাদের আন্তরিকতা, ক্ষমতা দিয়ে তাদের সহায়তা করব। যত দিন চাকরি আছে মানুষকে সহায়তা করে যাবেন।’

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এসএস/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :