ব্রয়লারের খাবার কিনলে তবেই মিলছে বাচ্চা

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪৩ | প্রকাশিত : ২২ মার্চ ২০২৩, ১৫:২৮

দেশব্যাপী ব্রয়লার মুরগির খুচরা মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খাদ্য ও বাচ্চার বাজারেও। নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার ব্রয়লার মুরগির খামারিরাও এ আওতার বাইরে না।

খুচরা খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোম্পানির নির্ধারিত পরিমাণ খাদ্য নিলে পাওয়া যায় কিছু বাচ্চা। বেশির ভাগ খামারির অভিযোগ মুরগির দাম বৃদ্ধির পর থেকে মুরগির বাচ্চা বা খাদ্য কোম্পানির লোকজনকে মোবাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও মূল্য বৃদ্ধির অযুহাতে খাদ্য ও বাচ্চার সংকট দেখান তারা। অতিরিক্ত টাকা দিলে পাওয়া যায় দুটি তবে সেটিও ব্যান্ডেল প্যাকেজ হিসেবে।

খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামের একাধিক কোম্পানি মুরগির খাবার ও বাচ্চা সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধির পর থেকে অনেকগুলো কোম্পানির লোককে মার্কেটে দেখা যাচ্ছে না। কোম্পানির অনুমোদিত ডিলাররাও দেখাচ্ছেন বিভিন্ন অযুহাত। মুরগির দাম বৃদ্ধির আগে প্রতি ব্যাগ (৫০ কেজি) খাদ্যের মূল্য ছিলো কোম্পানি ভেদে তিন হাজার ৫৫৭, তিন হাজার ৫৬৭ ও তিন হাজার ৫৭০ টাকা।

কিন্তু বর্তমানে একই কোম্পানির ওই খাদ্য বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৬৪২ থেকে শুরু করে তিন হাজার ৬৭০ টাকা পর্যন্ত, প্রতি ব্যাগ প্রতি ১২৫ থেকে ১৫০টা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। আর ৪০টাকা করে বিক্রি হওয়া প্রতি পিস বাচ্চা এখন বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৬৮ থেকে ৭০ টাকা করে। এতে খামারিদের পক্ষে খামার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই অনেকেই আপাতত ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন।

জনতা বাজার ব্রাদার্স পল্টির পরিচালক বেলায়েত হোসেন বলেন, এমনিতে গত কয়েক বছর ধরে ব্রয়লার মুরগি খামারিরা লোকসানে রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েক দফায় বেড়েছে খাদ্য ও বাচ্চার দাম। সবশেষ গত কয়েকদিন আগে মুরগির দাম বৃদ্ধির পর পরই খাদ্য ও বাচ্চা সরবরাহকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে আবারও দাম বাড়িয়েছে। কোন প্রকার নীতিমালা ছাড়া মনগড়াভাবে তারা এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কোম্পানিগুলো খামারিদের কোন একটি আলাদা প্রোডাক্ট দিচ্ছে না (বাচ্চা অথবা খাদ্য)। তারা বর্তমানে তাদের নির্ধারিত পরিমাণ খাদ্য নিলে তার সঙ্গে কিছু বাচ্চা দিবে এমন চুক্তিতে পণ্য সরবরাহ করছে।

গত বুধবার (১৫ মার্চ) ১৪ টন খাদ্য অর্ডার করার পর বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে খাদ্যের সঙ্গে আমাকে ২৫০০ বাচ্চা দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান খাদ্য ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জেলা রেজিস্ট্রারকৃত প্রায় ১১শত মুরগির খামার রয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন সময় লোকসান বা নিজস্ব কারণে কিছু খামার মাঝে মধ্যে বন্ধ হয়, আবার কেউ কেউ পুনঃরায় চালুও করে। ইউক্রেন যুদ্ধ সহ বিভিন্ন কারণে মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার দাম বেড়েছে। খামারিদের কাছ থেকে খাদ্য ও বাচ্চা কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটের বিষয়টি আমরা শুনেছি, জেলার সমন্বয় সভায় এসব নিয়ে কথা বলা হবে, যারা খামারিদের জিম্মি করে মুনাফা আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :