কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ লাশ: তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে যা জানালেন ডিআইজি আনোয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:২০| আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৫৬
অ- অ+

কক্সবাজারে উপকূলে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার দুদিন পার হতে চলল। এই ঘটনার পেছনে কী কারণ আছে এবং কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইডি) আনোয়ার হোসেন। সোমবার বিকাল নাগাদ পাওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী লাশগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো সংরক্ষণের কাজ চলছে এবং এর মাধ্যমে সবার পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।

রবিবার সকালে উপকূলে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজারে পরিদর্শনে গেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘লাশগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে। নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে লাশগুলোর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।’

ডিআইজি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না কীভাবে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে। আমাদের ইনভেস্টিগেটররা (তদন্তকারীরা) কাজ করছেন। ঢাকা থেকে সিআইডি, পিবিআইয়ের দল এসে অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িদের দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ডুবে যাওয়া ট্রলারে নাম নেই কেন এ নিয়ে আমরা বোট মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলছি। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের সঙ্গেও কথা বলব। সবকিছু জেনে আরও তথ্য পাওয়া গেলে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড।’

পুলিশের অন্যতম এই শীর্ষ কর্মকর্তার ভাষ্য , সমুদ্রে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের নিয়মিত নজরদারি রয়েছে। দস্যুতা রোধে মহেশখালী ও বাঁশখালীর বহু জলদস্যুকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সমুদ্রে যাওয়া জেলেদের জন্য জিপিআরএস পদ্ধতি চালু করা হবে।

রবিবার দুপুরে কক্সবাজারে একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধি লাশগুলোর পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তারা হলেন- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা খান খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর আমরা একটা ডিঙি নৌকা নিয়ে ট্রলারটির কাছে যাই। ট্রলারটি একদিকে কাত হওয়া ছিল। মরদেহগুলো মাছ ধরার ট্রলারের কোল্ড স্টোরেজের ভিতরে তালাবাদ্ধ অবস্থায় ছিল। সেখানে একটার উপর আরেকটা লাশ স্তূপ করা ছিল।’

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম রবিবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, লাশগুলো ১০ থেকে ১৫ দিন আগের। চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে এবং পঁচা দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছে না। তবে হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে।”

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গরমে দিনে কতটুকু পানি পান করলে শরীর সুস্থ থাকবে
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা