পাকিস্তানে কাউন্টার টেরোরিজম অফিসে বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত
উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে কাউন্টার টেরোরিজম অফিসে দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ বলেছে, আক্রমণের কোনো প্রমাণ নেই এবং কেন্দ্রে গোলাবারুদ জ্বালানো বৈদ্যুতিক ত্রুটির ফলে এটি হতে পারে।
নিহতদের অধিকাংশই পুলিশ কর্মকর্তা। খভর বিবিসির।
বিস্ফোরণটি সোয়াত উপত্যকায় ঘটেছিল, যা ২০০৯ সালে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল।
বিস্ফোরণে ৪০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে এবং ভবন ধসে পড়েছে।
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রাদেশিক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গোলাবারুদে আগুন লেগেছে, সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের কারণে।
‘এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে হামলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ বলেন মুখপাত্র।
পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠী সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার দাবি করেনি।
কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান সোহেল খালিদ রয়টার্সকে বলেছেন, বিস্ফোরণগুলো সন্ত্রাসবাদের কাজ বলে মনে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘একটি দোকান ছিল যেখানে আমাদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ছিল, এবং এখন পর্যন্ত আমরা বিশ্বাস করি যে কিছু অসতর্কতার কারণে সেখানে কিছু বিস্ফোরণ হতে পারে। আমরা আমাদের সব বিকল্প খোলা রাখছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রথমে বিস্ফোরণকে আত্মঘাতী হামলা বললেও পরে ‘বিস্ফোরণের প্রকৃতি তদন্ত করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে টুইট করেন।
পাকিস্তানি সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী উপত্যকায় শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রেখেছে, যা বিদ্রোহের প্রবণতা রয়েছে।
২০১২ সালে জঙ্গিরা উপত্যকায় নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাইকেও গুলি করে আহত করেছিল।
(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/এফএ)