ছাত্রলীগ নেতা টিপুকে দেখতে হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতৃবৃন্দ
ছাত্রলীগ নেতা টিপু সুলতানকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা টিপুর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ টিপুর চিকিৎসার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুল ওয়াদুদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতা টিপু সুলতানকে দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যান।
সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় রিকশা চালিয়ে আলোচনায় আসেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা টিপু সুলতান। দলের কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি আহত হয়েছিলেন।
ফিকামলি তত্ত্বের জনক ড. আব্দুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের জানান, টিপুকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ দেখার পরপরই তিনি টিপুর চিকিৎসার ব্যয়ভার নিতে এগিয়ে আসেন। অনেকেই টিপুকে দেখতে এসেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টিপুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন, খোঁজ খবর রাখছেন-এটা একজন কর্মীর জন্য খুবই সন্তুষ্টির বিষয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যদি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সব খোঁজখবর একাই রাখতে হয়, তাহলে এত নেতা-কর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জন সম্পৃক্ততা ও দায়িত্ববোধের বিষয়ে বিরাট প্রশ্ন থেকে যায়। তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আরও কর্মীবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানান।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ড. আবদুল ওয়াদুদ আরও বলেন, জনগণের মন-মানসিকতা, চাহিদা, প্রয়োজন, সর্বোপরি জনগণের প্রত্যাশাকে বুঝে এবং বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব কর্মসূচি প্রণয়ন করবেন এবং জনগণের ন্যায্য দাবি আদায় ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানবসেবা এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখবেন- সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে এমনটাই প্রত্যাশা করে। বঙ্গবন্ধু সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে, তাদেরকে নিয়ে, তাদের জন্য রাজনীতি করেছেন; সুখে দুখে তাদের পাশে থেকেছেন, নিজের সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের দুর্দশা ঘুঁচিয়ে সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। কর্মীবান্ধব বঙ্গবন্ধু নেতাকর্মীদের যেকোনো প্রয়োজনে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতেন। ছাত্রলীগ নেতা টিপুর ঘটনা একক কোনো ঘটনা নয়। টিপুর মতো এরকম শত শত টিপু আছে, যাদের দুঃসময়ে বর্তমান কালের নেতারা পাশে থাকে না। মিডিয়ার কারণে হয়তো টিপুর বিষয়টি সামনে এসেছে। এই ঘটনা থেকে আমাদের নেতাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে তিনি নেতা-কর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান।
এসময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে টিপুর পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১২মে/এমএইচ/ইএস)