চলনবিলে লিচুর বাম্পার ফলন

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
  প্রকাশিত : ১৭ মে ২০২৩, ১৬:২২
অ- অ+

চলনবিল এলাকায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বৃষ্টিপাত না থাকায় লিচুর কিছুটা ক্ষতি হলেও এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে বাগান মালিকেরা জানিয়েছেন।

খুচরাও পাইকারী বাজারে কৃষক ভাল দাম পাওয়ার মধ্য দিয়ে কেনা বেচায় জমে উঠেছে এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী লিচু বিক্রির আড়ত। আর আড়তগুলোতে প্রতিদিন কোটি টাকা লিচু বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম সিংড়া, পাবনার চাটমোহর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার লিচুর আড়তে সব মিলে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার লিচু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে চলনবিল অধ্যুষিত নাটোর জেলার গুরুদাসপুর, সিংড়া, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর বটতলা , মামুদপুর, নাজিরপুর, মশিন্দা, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর, ধামাইচ হাট এলাকার ১২-১৫টি লিচুর আড়ত এ খুচরা ও পাইকারী দরে কেনা-বেচা জমে উঠেছে।

কৃষক বোরহান মন্ডল জানান, লিচুর আবাদে সহনীয় তাপমাত্রার চেয়ে এ বছর বেশি গরম থাকায় অনেকের বাগানের লিচু ফেটে নষ্ট হয়েছে। তারপরও বোম্বাই, চায়না-৩ ও মোজাফ্ফর জাতের লিচরু ফলন মোটামুটি ভাল হয়েছে।

তিনি জানান, বোম্বাই জাতের লিচু প্রতি হাজার বিক্রি হচ্ছে ১৫শ-১৭ টাকা, চায়না-৩ জাতে লিচু প্রতি হাজার ৩ হাজার ৫শ থেকে ৪ হাজার টাকা ও মোজাফ্ফর জাতে লিচু প্রতি হাজার ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

গুরুদাসপুর লিচু আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মোকামে শতাধিক আড়তে সারাদিন লিচু পাইকারি বেচাকেনা হয়। এসব লিচু আবাদ ও বেচাকেনায় প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার শ্রমিক করেন। চলতি বছরে আবহাওয়ার তাপমাত্রা ৩০-৩২ ডিগ্রির মধ্য থাকলে লিচুর ফলন আরও বেশি হতো বলে জানান তিনি।

আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানান, চলনবিলের আড়ৎগুলোতে থেকে প্রতিদিন দিন রাত মিলে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০টি ট্রাক বোঝাই করে রাজধানী ঢাকাসহ পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঈাইল, চট্রগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, হবিগঞ্জসহ অভ্যান্তরীণ অনেক জেলা থেকে লিচু ক্রেতা পাইকাররা চলনবিলের আড়ত থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি হাজার লিচু এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ২০০ পর্যন্ত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার লিচু বেচাকেনা হবে এ মোকাম থেকে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। শুধু তাই নয় চলনবিলে এক দশকে লিচুর আবাদও প্রসারিত হয়েছে অনেক। চলতি বছর তাপমাত্রা কিছু বেশি থাকায় প্রথম দিকে লিচুর সামান্য সমস্যা হলেও চলনবিলের কৃষক পাইকারী ও খুচরা বাজারে লিচুর ভাল দামও পাচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭মে/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ওপারে কারফিউ, সুনামগঞ্জের ১২ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবির সতর্ক অবস্থান
খালিশপুরে শহীদ মিনারের জমি দখলের ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা