গোপালগঞ্জে সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের দুরবস্থা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ জুন ২০২৩, ১৩:২০ | প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২৩, ১৩:১৬

গোপালগঞ্জে একমাত্র সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারটি চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। খামারের অনেকগুলো শেড ও যন্ত্রপাতিও দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রয়েছে জনবল সংকটও। জেলার ছোট ছোট খামারিদের স্বাবলম্বী করতে এ খামারে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করা হলেও খামারিরা বাচ্চা পান না। বেশি দামে বাইরে থেকে বাচ্চা কিনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের শত শত খামারির। জনবল আর নানা সংকটে এখন বেহালদশা এই খামারটির।

পুরনো শেড, আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবসহ নানা সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জ সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের কার্যক্রম। ১৯৮৭ সালে গোপালগঞ্জ শহরে প্রায় ৩ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল সরকারি হাঁস-মুরগির এই খামারটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ অঞ্চলের খামারিদের উন্নত জাতের বাচ্চা সরবরাহ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। যা স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থান, গোপালগঞ্জ শহর ও আশপাশ এলাকার মানুষের আমিষের ঘাটতি পূরণ এবং সরকারের আয়ের উৎসে পরিণত হয়। কিন্তু জনবল ঘাটতি ও নানা সংকটের কারণে গত ৫ বছর ধরে ধীরে ধীরে এটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়ে ২০১৮ সাল থেকেই এই খামারে হাঁস পালন করা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই খামারটির নাম দেওয়া হয় সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার।

বর্তমানে খামারে মোট ৭টি শেড রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিই পরিত্যক্ত। বাকিগুলোর দেয়ালে ফাটল ধরেছে। টিনের চাল মরিচার কারণে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। হ্যাচারিগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। নেই আধুনিক ব্রুডার হাউজ। আধুনিক মেশিন না থাকায় পর্যাপ্ত বাচ্চা ফোটানো যাচ্ছে না।

এখন খামারটির ২টি শেডে মুরগি পালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সোনালি ও ফাউমি জাতের ১ হাজার মুরগি ও ১৩০ টি মোরগ পালন করা হচ্ছে। গত ২ মাসে ৫০টি মুরগি মারা গেছে। প্রতি সপ্তাহে ৩ হাজার বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। যা প্রতি পিচ ১২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে শেডগুলোর পরিচর্যায় হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মচারীদের। এখানে মোট ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কর্মরত আছেন ৩ জন। দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে আছে ছয়টি পদ। অন্যদিকে বাকি শেডগুলোয় নিয়মিত বাচ্চা উৎপাদন করা যাচ্ছে না। প্রতি বছর বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ থাকলেও নানা সংকটের কারনে এখন ৭০ হাজার বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে। তাই বেশি দামে বাইরে থেকে বাচ্চা কিনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের খামারিদের।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার ব্যবস্থাপক মো: লোকমান হোসেন বলেন, গোপালগঞ্জ সরকারি হাস-মুরগির খামারটি ১৯৮৭ সালে স্থাপিত হয়। তাই খামারটির ভুমি নিচু অনেক। বর্তমানে খামারটিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। জনবল সংকট ও শেড জরাজীর্ন হওয়ায় জেলার খামারিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে বাচ্চা সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ্যানালক পদ্ধতিতে চলছে। বাচ্চা উৎপাদনের জন্য নেই আধুনিক মেশিন। তাই বিভিন্ন সমস্যার কারনে সরকারের টার্গেট অনুযায়ী আমরা বাচ্চা উৎপাদন করতে পারি না। সমস্যাগুলোর সমাধান হলে খামারটি প্রয়োজনীয় মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/১জুন/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :