সাবেক কাউন্সিলর মিজান-রাজীবের সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে যা বলছে র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২৩, ১৩:৪৮| আপডেট : ০১ জুন ২০২৩, ১৩:৫৭
অ- অ+

২০১৯ সালে চালানো ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়ম মেনে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাবেক দুই কাউন্সিলরের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

২০১৯ সালে দেশজুড়ে চালানো র‌্যাবের অভিযান নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই কাউন্সিলর।

এই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এতদিন পর সংক্ষুব্ধ হয়ে কেউ নিজেদের নির্দোষ দাবি করতেই পারেন। তবে বেশকিছু মামলা তদন্তাধীন এবং আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতই বলবেন কারা দোষী, কারা দোষী নন।

আরও পড়ুন>> জোসেফ-হারিস-আনিসের বিচার চাইলেন সাবেক দুই কাউন্সিলর

আরও পড়ুন>>তিন বছর কারাবন্দি, এখন প্রাণনাশের শঙ্কা সাবেক কাউন্সিলর রাজীবের

’রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও তারেকুজ্জামান রাজীব। ওই সংবাদ সম্মেলনে মিজান বলেন, ‘২০১৯ সালে এক পরিস্থিতিতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও এর আগে আমার নামে থানায় কখনো কোনো মামলা ছিল না। ওই সময় আমার বিরুদ্ধে সাজানো সব অভিযোগ আনা হয়। সরকারের ওই অভিযান ছিল ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। অথচ এ ধরনের কোনো কর্মকান্ডে আমি জড়িত না থাকলেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সরাসরি ইন্ধনে ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ হারিস-আনিসের মদতে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার অত্যাধুনিক লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এরপরও আমার কেন ভাঙাচোরা অস্ত্র লাগবে? কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা না পেলেও অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।’

ওই সংবাদ সম্মেলনে সাবেক কাউন্সিলর রাজীব বলেন, ‘সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রভাবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের (জোসেফ-হারিস-আনিস) উদ্দেশ্য ছিল ভাতিজাকে কাউন্সিলর বানাবে, আর সেটা করেছেনও।’

সাবেক দুই কাউন্সিলরের এসব অভিযোগের বিষয়ে র‌্যাবের মন্তব্য কী জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘সাবেক দুই কাউন্সিলরের যে অভিযোগ তা সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কেউ করতে পারেন। তবে আমাদের যে ক্যাসিনো অভিযান তা দেশবাসী দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত দেশগঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে একটি শ্রেণি দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করছে- এমন অভিযোগে আমাদের অভিযান (ক্যাসিনো বিরোধী) ছিল। শুধু তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযান নয়, আমরা সেসময় আরও অভিযান করেছি, কিন্তু কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।’

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা অভিযান চালিয়েছি। তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে এতদিনে তারা র‌্যাব সদর দপ্তর, আদালত কিংবা পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু এতদিন পর তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করছেন। এটা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হিসেবে করতে পারেন।’

সাবেক ওই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা তদন্তধীন রয়েছে উল্লেখ করে কমান্ডার মইন বলেন, ‘আদালত বলতে পারবেন কারা দোষী ছিলেন, কারা দোষী ছিলেন না। অভিযানগুলো আমরা পরিচালনা করেছি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং নিয়ম মেনে।’

(ঢাকাটাইমস/০১জুন/এসএস/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা