এক যুগে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না থাকায় বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এরই মধ্যে এক দশকের রেকর্ড মূল্যস্ফীতির খবর এল। জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি অর্থবছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে রেকর্ড গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একাদশ মাস অর্থাৎ মে মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি বা মাসভিত্তিক) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। এতদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল সর্বোচ্চ।
এই মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো ২০২২ সালের মে মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিল, এই বছরের মে মাসে তা কিনতে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ, ফলে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে তাদের লেগেছিল ১০৯ টাকা ২৪ পয়সা। মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ওই পণ্য বা সেবা পেতে ভোক্তার লেগেছিল ১০৯ টাকা ৩৩ পয়সা। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ ধরে লেগেছিল ১০৮ টাকা ৭৮ পয়সা। আর বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ হওয়ায় ওই পরিমাণ পণ্য বা সেবা পেতে ভোক্তার খরচ হয় ১০৮ টাকা ৫৭ পয়সা।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মে মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে মূল্যস্ফীতির এ পরিসংখ্যান দেয়া হয়। মহামারি এবং তৎপরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতির এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অর্থবছরের প্রথম থেকেই। যদিও মাঝে কিছুটা নিম্নমুখিতা ছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ঠিক এমন এক সময়ে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়। এর পরপরই বাড়ানো হয় সব ধরনের পরিবহন ভাড়া। এই দুইয়ের প্রভাবে বেড়ে যায় প্রায় সব পণ্যের দাম। ফলে পরের মাস আগস্টে মূল্যস্ফীতি এক লাফে বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়। মাঝে কয়েকটা মাস বাড়ার প্রবণতায় লাগাম থাকলেও রোজাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে, এতে ফের বাড়তে থাকে মূল্যস্ফীতি। জানুয়ারিতে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্যমতে, মে মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তার আগে এপ্রিলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মার্চে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, মে মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এপ্রিলে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। মার্চেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল একই।
ঢাকাটাইমস/০৫জুন/আরকেএইচ
সংবাদটি শেয়ার করুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
জাতীয় এর সর্বশেষ

আগের দুই সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপে ইসি

যুবসমাজই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর: এলজিআরডি মন্ত্রী

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হলেন আরিফুর রহমান দোলন

সজাগ থাকুন, নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট যেন না হয়, ইউএনওদের প্রশিক্ষণে সিইসি

জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতাই নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে যুক্তরাজ্যের পথে প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

ন্যাম ভবনে দুই সংসদ সদস্যের জানাজা

সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল ও উকিল আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন
