'আল্লাহ আমার দুই ছেলেকে নিয়ে গেছেন, অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়'

'আল্লাহ আমার দুই সন্তান নিয়ে গেছেন। যে প্রতিষ্ঠানের কারণে, পেস্ট কন্ট্রোল (পোকা-মাকড় নিয়ন্ত্রণ) করতে গিয়ে আমার দুই সন্তানকে হারাতে হলো। তারা যেন কোনোভাবেই পার না পান। আমরা যেন ন্যায় বিচার পাই।'
বৃহস্পতিবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন তেলাপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় মারা যাওয়া দুই শিশু-কিশোরের বাবা তোবারক হোসেন তুষার। এই মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন- ডিসিএস অর্গানাইজেশন লি. কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান ও কোম্পানিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরহাদুল আমিন। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। সেই সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তোবারক হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, কোনো কাজ আমরা না পারলে বিশেষজ্ঞদের ডাকি। কিন্তু তারা টাকার লোভে আমার দুইটা সন্তানকে মেরে ফেললো। আমি যতটা শুনেছি কোম্পানিটির স্প্রে করা বিষ বাসা বাড়িতে দেওয়ার বিষ ছিল না। এগুলো গুদামে স্পে করার জিনিস, অথচ তারা আমার বাসায় এগুলো করে।'
গুদামের বিষ বাসায় স্প্রে করে ডিএসএস
গত ২ জুন রাজধানীর বসুন্ধরায় আবাসিক এলাকায় স্প্রে করা বিষে দুই শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়। ডিবি বলছে, ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটির স্প্রে করা বিষ ছিল গুদাম, কারখানা বা বড় কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য। কিন্তু তারা সেটি বাসা বাড়িতে স্প্রে করেছে। আবার এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে কোনো ধরনের তথ্য দেয়নি।
তিনি বলেন, ২ জুন বসুন্ধরার আই ব্লকের একটি নতুন বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেন। এর দুদিন পর ভুক্তভোগী পরিবারটি রবিবার ওই বাসায় ওঠে। বাসায় প্রবেশ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ৪ জুন সকালে শাহিল মোবারত জায়ান (৯) মারা যায়। একই দিন রাত ১০টায় মারা যায় শায়েন মোবারত জাহিন (১৫)।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা গত ৫ জুন ডিসিএস অর্গানাইজেশনের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা টিটু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা পুলিশ।
ঢাকাটাইমস/০৮জুন/এসএস/ইএস

মন্তব্য করুন