মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন: সিআইডি প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২৩, ২১:১৪

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থার পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন”। শনিবার সকালে সিআইডির সদও দপ্তরে “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থার পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন”শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে সিআইডি প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সেমিনারটি মানি লন্ডারিংয়ের উপর একটি কার্যকরী ও সময়পোযোগি সেমিনার। তিনি বলেন বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ট্রেড বেজ্ড সেক্টর, রিয়েল এস্টেট এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানসমূহ প্লেসমেন্ট, লেয়ারিং এবং ইন্টিগ্রেশন পদ্ধতিতে মানিলন্ডারিং করে থাকে।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, একটি দেশের সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ দমন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, আর্থিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা আনয়ন এবং দুর্নীতি দমনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ খুবই জরুরি। মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত ও অর্থ পাচার রোধে সিআইডি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে, যা ইতোমধ্যে দেশ ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। তিনি বলেন মানি লন্ডারিং ও অর্থ পাচার রোধে প্রয়োজন বিভিন্ন সংস্থার পারস্পারিক সমন্বয়, সহযোগিতা, অভিজ্ঞতা ও ইনফরমেশন শেয়ারিং, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, কঠোর তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ। এ লক্ষ্যে মানি লন্ডারিং সমস্যা কিভাবে প্রশমিত হবে সে বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। একইসঙ্গে সিআইডি’র তত্ত¡াবধান ও উদ্যোগে খুব শিঘ্রই মানি লন্ডারিং মামলার ক্ষমতাপ্রাপ্ত তদন্তকারি সাতটি সংস্থার সমন্বয়ে একটি যৌথ কর্মশালার আয়োজন করা হবে।

সেমিনারে প্রধান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের হেড অব বিএফআইইউ (ডেপুটি গভর্ণর) মো. মাসুদ বিশ্বাস, এবং, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক এদিপ বিল্লাহ। সেমিনারে সিআইডির ডিআইজি (এইচআরএম) মো. মাইনুল হাসানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক ও প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলী।

সেমিনারে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিশেষ করে মানি লন্ডারিংয়ের গতি-প্রকৃতি ও প্রতিরোধের কৌশল বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিআইডি প্রধান বিএফআইইউয়ের প্রধানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দেন।

সিআইডি’র উদ্যোগে ইতোমধ্যে তদন্তকারী ও তদন্ত তদারককারী কর্মকর্তাদের আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিষয়ে সাতটি ব্যাচে ৪৫০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর এই সংক্রান্তে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেমিনারটি আয়োজন করা হয়। সিআইডিতে কর্মরত বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশ নেন। সেমিনারে মানি লন্ডারিং সংক্রান্তে অপরাধ প্রতিরোধ, অপরাধীদের সনাক্ত, মামলার তদন্ত পরিচালনা, পারিবারিক এবং সামাজিক সচেতনতাসহ যাবতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় সমন্ধে আলোকপাত করা হয়।

সেমিনারে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স সাপোর্ট নিশ্চিত করা, যাবতীয় ট্রেড সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণ, ক্ষমতাপ্রাপ্ত সাতটি তদন্ত সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি, সন্দেহজনক লেনদেন কঠোর মনিটরিং ও রিপোর্টিং, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির ব্যবহার, জি টু জি (গভর্ণমেন্ট টু গভর্ণমেন্ট) দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন, মানি লন্ডারিং বিষয়ে দেশব্যাপী প্রচার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রসিকিউশনের জন্য প্যানেল আইনজীবি নিয়োগ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। সিআইডি প্রধান সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/এএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :